কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

অত্যান্ত বিব্রতকর এবং কষ্টদায়ক একটি সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ লোক এই অসুখে ভুগে থাকেন। তাই আজকে সবাইকে সচেতন করার জন্য আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য। কারণ , এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।


আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সম্পর্কে না জানেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে করুন এবং জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়গুলো।

সূচিপত্রঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়

কোষ্ঠকাঠিন্য-বেশ জটিল ধরনের একটি রোগ সাধারণত ফাইবার বা আস যুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে সাধারণত বিশ্বের প্রায় ১০-১২ শতাংশ লোক এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। তবে অনেক মানুষই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলেও সকলেই হয়তো জানেনা কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়। আপনারও যদি জানা না থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় , তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টি আপনার জেনে রাখা উচিত। চলুন আমরা তাহলে এবার কষ্ট কাঠিন্য কেন হয় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করি । বেশ কয়েকটি কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হলো,

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াঃ সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি মানুষের অন্ততপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। কেউ যদি দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করে তাহলে তার ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়া স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।

শরীর চর্চার অভাবঃ বর্তমান যুগে আমরা অত্যন্ত কর্মব্যস্ত এবং প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি আর যার ফলে নিয়মিত শরীর চর্চা করা আমাদের সম্ভব হয়ে ওঠে না । শরীরচর্চা বা শারীরিক ব্যায়ামের অভাবেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতার ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ মানুষ যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন তার পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয় বা পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা অনেক অংশেই কমে যায় , যার  খাদ্য ঠিকভাবে হজম হয় না এবং দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা।

ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়ার ফলেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণ করা । ব্যথা নাশক ওষুধগুলো বেশি পরিমাণে খেলে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এই কারণে যারা ব্যথা না শোক ওষুধগুলো সেবন করেন তাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা

এছাড়াও ডায়াবেটিস হলে অথবা দুগ্ধ জাত খাবার গুলো বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।তাছাড়া , গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারণেও হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন সমস্যা

কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ

এবার আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ সম্পর্কে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের লক্ষণগুলো যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে এই আলোচনার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ গুলো। যে যে উপসর্গ গুলো দেখলে আপনাকে বুঝতে হবে , আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য যোগ হয়েছে সেই উপসর্গগুলো হল ,

  • মলত্যাগ করতে অত্যাধিক সাপের প্রয়োজন হওয়া
  • পায়খানার দ্বারের আশেপাশে বা পেটে ব্যথা অনুভব হওয়া
  • ছোট দলা আকারে বা অত্যন্ত শুকনা পায়খানা হওয়া
  • পায়খানা পাস করার সময় কষ্ট হওয়া

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয়

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় আসুন এবার সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বেশ কিছু জটিল সমস্যা সেখান থেকে সৃষ্টি হতে পারে এই কারণে কখনোই কষ্টকাঠিন্য কে অবহেলা করা উচিত নয় দ্রুত এটির বিপরীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আর প্রত্যেকের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় বা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে হতে পারে

  • পেট ব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব
  • চোখের নিচে কালো দাগ
  • মেসতা
  • মাথা ব্যথা
  • পাইলস
  • ফিসটুলা
  • এনাল ফিসার
  • মুখে ঘা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অত্যন্ত বিরম্বনা পর এবং বিব্রত গড় পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। কোষ্ঠ কাঠিন্যের ব্যাপারে সতর্ক না থাকলে যে কোন সময় যে কারোরই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে, আর এই কারণে আজকে আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টি আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। আর দেরি না করে ,তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কষ্ট-পাঠীর ও দূর করার উপায় গুলো। নিয়মিত বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে নিতে পারেন। খাবারগুলো গ্রহনের মাধ্যমে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারেন সে খাবার গুলো হলো ।

মধুঃ মধুর ভেতরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাও একটি। প্রতিদিন যদি দুই থেকে তিনবার হালকা গরম পানির মধ্যে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রসঃ সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানির ভেতরে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে , লেবু এবং গরম পানি শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নয়, এই পানীয়টি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

কিসমিসঃ কিসমিস ভেজানো পানি খেলেও খুব দ্রুত আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে । রাতের বেলায় কিছুটা কিসমিস এক গ্লাস পানির ভেতরে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালবেলা এই পানিটি পান করুন। কিসমিসের পরিবর্তে আঙ্গুরের রস বা আঙ্গুর খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

ক্যাস্টর অয়েলঃ ক্যাস্টর অয়েল রূপচর্চার কাজে অতি পরিচিত একটি উপাদান হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ক্যাস্টর অয়েল অসাধারণ কাজ করে। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন যদি সকালবেলায় একটা মোট ক্যাস্টর অয়েল খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকতে আপনাকে অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।

কলমি শাক ও পালং শাকঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সারানোর ক্ষেত্রে কলমি শাক ও পালং শাকের দুর্দান্ত কার্যকারিতা রয়েছে । কলমি এবং পালং শাকের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকায় হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে এর জুড়ি নেই।

এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আপনাকে রেগুলার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শরীর চর্চা বা শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন এবং পাশাপাশি ভাজাপোড়া ও অস্বাস্থ্য খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিত এবং তরল ও যেসব ফল বা খাবারে পানির পরিমাণ বেশি সেই জাতীয় খাবার গুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই ধরনের কিছু সতর্কতা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এসব খাদ্যগুলো খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে খুব সহজেই আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আশা করছি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

শুধু বড়দের নয় সুদের ক্ষেত্রেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভীষণ প্রকট ভাবে দেখা দেয়।শিশু দের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, সেই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনার জানা থাকা উচিত শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় গুলো। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তাহলে পরিবারের কোনো শিশুর যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব সহজেই এর সমাধান করা সম্ভব। চলুন এবার তাহলে আমরা জেনে নিয়ে শিশুদের কষ্ট কাঠিন্য দূর করার উপায়গুলো। শিশু অথবা বড় সবারই উচিত কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়ার আগেই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া। কারণ একটি কথায় আছে-প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। শিশুকে কষ্ট পাঠিয়ে দিন থেকে দূরে রাখতে হলে যে যেই পদক্ষেপগুলো আপনার গ্রহণ করতে হবে সেগুলো হলো,

পর্যাপ্ত পানি পানির অভ্যাসঃ শিশুকে ছোটবেলা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন । পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের বিভিন্ন অসুবিধা দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। পর্যাপ্ত পানি পান হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে এবং শরীর থেকে বিভিন্ন টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করে দিতেও সাহায্য করবে ।

ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার না খাওয়াঃ ছোট বাচ্চাদের অবশ্যই বাইরের অস্বাস্থ্যকর , ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুট জাতীয় খাবার গুলো পরিবর্তে বাড়ি তৈরি স্বাস্থ্যকর এবং অল্প মসলা ও তেল দিয়ে রান্না করা খাবার গুলোর উপরে অভ্যস্ত করে তুলুন । এর ফলে আপনার শিশু অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবে।

নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাসঃ শিশুকে নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করানো শেখানো। এবং নিয়মিত মলত্যাগের পাশাপাশি কোন সময় মলের বেগ যেন আটকে না রাখে সেই পরামর্শ দিন। কারণ পায়খানা বা মলের বেগ চাপিয়ে রাখা কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম প্রধান কারণ।

আরো পড়ুনঃশরীরের মেদ কমানোর উপায়

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত থাকতে শিশুকে অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। সাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো সহজেই হজম করা সম্ভব হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

শরীরচর্চাঃ ছোট থেকেই শিশুকে নিয়মিত শরীর চর্চা করার অভ্যাস করান। শরীর চর্চা আপনার শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার

যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বিভিন্ন জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেহেতু আমাদের উচিত কোষ্ঠকাঠিন্যের ব্যাপারে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাটি সারিয়ে ফেলার। আর সমস্যার সমাধান যদি ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক ফলমূল বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হয় তাহলে এর চাইতে ভালো আর কি হতে পারে । এই কারণে আমরা এবার জানবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার গুলোর নাম সম্পর্কে । যে সকল খাবার গুলো কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুন ভাবে সাহায্য করে আমরা এবার সেসব খাবার গুলোর নাম জানবো। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার খাবার গুলো হল ,

  • লেবু
  • মধু
  • আঙ্গুর
  • কিসমিস
  • পেয়ারা
  • কলা
  • বেল
  • পেঁপে
  • গাজর
  • শসা
  • কলমি শাক
  • পালং শাক
  • অ্যালোভেরার রস
  • এসব গুলের ভুষি
  • মিষ্টি কুমড়া
  • পুদিনা পাতা
  • লাউ
  • মিষ্টি আলু

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষুধ

অনেক সময় অসতর্কতা বা বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার অথবা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো কম খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। এবং এ ধরনের সমস্যা গুলো কোন কোন সময় এতই জটিল আকার ধারণ করে যে , ইমমিডিয়েট ওষুধের মাধ্যমে সমাধান করার প্রয়োজন পড়ে এই জন্য আজ আমরা কিছু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ এবং সিরাপের নাম জানবে। চলুন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষধ গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরের হোমিও ওষুধঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য নিচে দেওয়া এই হোমিও ঔষধ গুলো অতি দ্রুত এবং অত্যন্ত ভালো কাজ করে তবে শর্ত হল এই ওষুধগুলো দেয়ার আগে রোগীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং রোগের ধরনের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

  • নাক্স ভোমিকা
  • নেট্রাম মিউর
  • লাইকপোডিয়াম
  • কলেনসোনিয়া মাদার টিনচার

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য নিচের এই সিরাপ গুলো অত্যন্ত ভালো কাজ করে।

  • অ্যাভোলোক সিরাপ
  • মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া

আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি কি সমস্যা হয় , কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ সহ আরো বিভিন্ন তথ্য। কোষ্ঠকাঠিন্য বিষয়ক এই তথ্যগুলো জানার পরে কোনভাবেই আপনার উচিত না কোষ্ঠকাঠিন্য কে সহজ বা হালকা ভাবে নেওয়া কারণ এখান থেকে তৈরি হওয়া পাইলস থেকে সৃষ্টি হতে পারে প্রাণঘাতি কোলন ক্যান্সার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url