গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে - গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল

সারা বিশ্ব আজ হুমকির সম্মুখীন গ্রিনহাউজ নামক প্রতিক্রিয়ার সামনে। তাই সারা বিশ্বকে বা পৃথিবীতে নিয়ে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল সম্পর্কে এবং গ্রিনহাউজ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে হবে সব দেশকে একসাথে সচেতন হতে হবে। তা না হলে পৃথিবীকে পড়তে হবে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখ। গ্রীন হাউজ সম্পর্কে জানার জন্য আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে এবং গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল নিয়ে।

বর্তমানে যন্ত্রসভ্যতার চরম উৎকর্ষের দিনে গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া সভ্যতার অসারতা আর ভঙ্গুরতাকেই নির্দেশ করে। এ প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রকৃতি বিগড়ে বসেছে এবং গোটা বিশ্বকেই ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের মুখে। যদিও প্রকৃতির বিরুপ আচরণের জন্য দায়ী এ মর্ত্যবাসী মানুষই। মানুষই অবিবেচকের মতো বিভিন্ন প্রকার পরিবেশ বিনষ্টকারী কাজ করে প্রকৃতিকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। যার ফলশ্রুতিতে মানবসভ্যতাই আজ বিপদাপন্ন। তাই চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে এবং গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল সম্পর্কে। এই পোস্টটি গ্রীন হাউস ইফেক্ট সম্পর্কে আরো যা জানতে পারবেন তা হল , গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার কারন বাংলাদেশে গ্রিনহাউজের প্রতিক্রিয়া গ্রিনহাউজ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ। তাহলে চলুন আর দেরি না করে পোস্টটি পড়ে নেওয়া যাক এবং জেনে নেওয়া যাক গ্রীন হাউস ইফেক্ট সম্পর্কে।

সূচিপত্র ঃ গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে - গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল

গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে

গ্রিনহাউজ নামটির কথা অনেকেই শুনেছেন ,কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে। যদি গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে তা না জেনে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে জ্ঞান রাখা উচিত কেন না এই গ্রীনহাউজ সম্পর্কে সচেতন না হওয়ার কারণে পৃথিবী সম্মুখীন হতে চলেছে অনেক বড় একটি বিপদের সামনে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে এই বিষয়টি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে।
ইংরেজিতে "Greenhouse effect" বলতে বুঝায় "সবুজ ঘর প্রতিক্রিয়া"। 'গ্রিনহাউজ' বলতে এমন এক ঘরকে বুঝায় যে ঘরে শীতপ্রধান দেশ বা মেরু অঞ্চলের অধিবাসীরা শাক-সবজি উৎপাদন করে থাকে। বিশ্বে সেই ঘরেরই অনুরুপ প্রতিক্রিয়ায় অবস্থাকেই বলা হয় গ্রীনহাউজ এফেক্ট বা গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া। শীতপ্রধান দেশগুলোতে একটানা দীর্ঘদিন সূর্যের আলো পড়ে না। উত্তাপ ও সূর্যের আলোর অভাবে সেখানে গাছ-গাছড়া বিশেষ করে শাক-সবজি উৎপাদন হতে পারে না। বিজ্ঞানিরা সবজি উৎপাদনের জন্য বিশেষ এক ধরনের কাচের ঘর তৈরি করেন।
যে ঘরের কাচ ভেদ করে সূর্যালোক ও তাপ ভেতরে ঢুকতে পারে কিন্তু বিকিরণ প্রক্রিয়ার তা বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে কাচের ঘরে সঞ্চিত হয় সূর্যালোক। এই উত্তাপ দিয়ে উৎপন্ন করা যায় সবজি। তাই এই ঘরের নাম হয়েছে গ্রিনহাউজ। পৃথিবীতে সূর্যতাপ বিকিরণ হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি এবং তার ফলে উত্তাপ বৃদ্ধিজনিত প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে- যা অনেকটা গ্রিনহাউজের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ারই অনুরূপ। সেজন্যই এ অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে 'গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া'

গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার কারন

পৃথিবীর চারপাশে মহাশুন্যে ওজোন স্তর নামে একটি বেষ্টনী রয়েছে। যে স্তর সূর্যালোক পৃথিবীতে প্রবেশের সময় ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির প্রবেশ রোধ করে এবং পৃথিবীতে আসা তাপ বিকিরণ প্রক্রিয়া ফিরে যেতে সাহায্য করে। ফলে পৃথিবীর তাপ সঞ্চিত হতে পারে না এবং সুষম উত্তাপ বিরাজ করে। শিল্পকারখানা ও গৃ্হস্থালি সামগগ্রীতে ব্যবহৃত সিএফসি গ্যাসসহ অন্যান্য কিছু গ্যাস এই ওজোন স্তরের ক্ষতিসাধন করছে।যার ফলে এখন পৃথিবীতে অতিবেগুনী রশ্মি অনেক সহজেই প্রবেশ করে। অপরদিকে পৃথিবীতে অতিমাত্রায় উৎপন্ন হচ্ছে কার্বন-ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড সহ নানাপ্রকার বিষাক্ত গ্যাস। 
শিল্পকারখানা ও যন্ত্রিক গাড়ির ধোঁয়ার সাথে বেরিয়ে আসছে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্যাস। নির্বিচারে বনাঞ্চল ধ্বংস করায় কার্বন ডাই-অক্সাইড হয়ে পড়েছে উদ্বৃত্ত। এ উদ্বৃত্ত গ্যাসরাশি পৃথিবীর চারপাশে ওজোন স্তরে একটি গোলাকার আবরণ সৃষ্টি করেছে- যা ভেদ করে সূর্যাতাপ পৃথিবীতে ঢুকতে পারে কিন্তু বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তা মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারে না। ফলে পৃথিবীতে প্রতিদিনই উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার অন্যতম কারনগুলো হলো - 
১. অধিক হারে সবুজ বনানী ধ্বংস করা। 
২. অপরিকল্পিতভাবে অধিকসংখ্যক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। 
৩. যানবাহনের ধোঁয়া বিশেষ করে ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন ব্যবহার। 
৪. অপরিকল্পিতভাবে ইট পোড়ানো।

গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল

এতক্ষণ আপনারা জেনেছেন গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া কাকে বলে এবং গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া কারণ কি। এবার আপনাদের জানাবো গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল সম্পর্কে। কেননা অচিরেই যদি গ্রিনহাউজ এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা না হয় তাহলে পৃথিবী অনেক বড় হুমকির  সম্মুখীন হতে হবে। তাই আজকে আমরা জানবো গ্রিনহাউজ ইফক্টের ফলাফল কি হতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল।
গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল হিসবে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা। পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বিপর্যয়। মেরু অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ বছর থেকে জমে থাকা বরফরাশি পৃথিবীর উত্তাপ জনিত কারনে গলে যাচ্ছে। গলিত পানি নেমে আসছে সমুদ্রে। এতে সমুদ্রবক্ষ স্ফীত হয়ে উঠেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের স্ফীতিজনিত কারনে উপকূলীয় অনেক এলাকা ও দ্বীপ তলিয়ে যাওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। উঁচু এলাকায় মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাছাড়া অকালবন্যা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, দাবানল, এসিড বৃষ্টি, ঋতু পরিবর্তনে ব্যতিক্রম প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রতি বছর জানমালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধন হয়। সবকিছু মিলে পৃথিবীতে মানবসভ্যতাই আজ চরমে হুমকির সম্মুখীন

বাংলাদেশে গ্রিনহাউজের প্রতিক্রিয়া

আপনাদের কি জানা আছে বাংলাদেশে গ্রিনহাউজের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কি ধরনের অসুবিধা তৈরি হতে পারে? চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশে গ্রিনহাউজের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। গ্রিনহাউজ ইফেক্টের সবচেয়ে বড় শিকারে পরিণত হতে চলেছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ পরিবেশবিজ্ঞানিরা আশংকা করছেন যে পৃথিবীতে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তা অব্যহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ যে পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তাতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশাল এলাকায় তলিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের মারাত্মক মরুকরণ প্রক্রিয়ায় লক্ষ লক্ষ একর জমির ফসল উৎপাদনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অকাল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা বাংলাদেশে প্রতিবছরের নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৮৮ সালের সমগ্র দেশ জলমগ্নকারী বন্যা ও ১৯৯৮ সালের সালের ইতিহাসের দীর্ঘতম সময়ব্যাপী বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি জনগণ অদূর ভবিষ্যতে পুষিয়ে নিতে পারবে না। 
তাছাড়া খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি জনজীবনকে প্রতিবছরই অতিষ্ট করে তোলে। দেশের অনেক স্থানে ঋতু পরিবর্তন ও ঋতু বৈশিষ্টে ব্যতিক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড গরমেও শীতেও অনুভব হতে দেখা গেছে। ২০০২ সালে দেশে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকায় মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। উপকূলে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। জমিতে অতিরিক্ত লবণাক্ত সৃষ্টি হওয়ায় লক্ষ লক্ষ একর জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।

গ্রিনহাউজ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ

এবার আপনাদের জানাবো গ্রিনহাউজ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে। সারাবিশ্বের পরিবেশবিজ্ঞানী ও সচেতন মহল গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনকে জোরদার করে তুলেছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ও এই বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। জাতিসংঘ, ইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ব্যাপারে কাজ করছে। গ্রিনহাউজ ইফেক্ট একটি ব্যাপার ও জটিল সমস্যা যাতে কোনো দেশের এক পক্ষে বা অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিশ্বের সকল জাতি মিলে অতিশিল্পায়ন রোধ করতে হবে। শিল্পকারখানা থেকে ক্ষতিকর ধোঁয়া উদগিরণ রোধ করতে হবে। শিল্পবর্জ্য Dumping বন্ধ করতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত যানবাহন ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবন ও ব্যবহার উদ্যোগী হতে হবে। বৃক্ষ ও বনাঞ্চল ধ্বংস রোধ করে বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে সবুজের সমারোহ। ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনারসহ বিভিন্ন যান্ত্রিক উপকরণে সিএফসি গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে এসব উপকরণে ব্যবহারও পরিত্যাগ করতে হবে। ওজোন স্তরের ক্ষয়পূরণে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে৷ গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মূলত গ্রিনহাউজ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্ভব। এছাড়াও গ্রীন হাউস প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধের উপায়গুলো হলো- 
১. অবাধ বৃক্ষনিধন বন্ধ করা। 
২. পরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে এগুলোর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা করা 
৩. যানবাহনের কালো ধোঁয়া বন্ধ করার ব্যবস্থা করা। 
৪. বন্যা ও প্লাবনের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় বাধঁ নির্মাণ করা। 
৫. সমুদ্রের লবনাক্ত পানি যাতে স্বাদু ও মিষ্টি পানির জলাশয় বা নদীতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। 
৬. জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রিনহাউজ ইফেক্টের মারাত্মক কুফল সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো। 
৭. শিক্ষার সকল স্তরে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্রিনহাউজ সম্পর্কিত প্রবন্ধ ও নিবন্ধ পাঠ্যসুচিভুক্ত করা।
মন্তব্য , এতক্ষণে নিশ্চয় গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া কাকে বলে এবং গ্রিনহাউজ ইফেক্টের ফলাফল গ্রিনহাউজ ইফেক্ট একটি বৈশ্বিক সমস্যা হলেও বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র অনুন্নত ও উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলোই এর প্রত্যক্ষ ক্ষতির শিকার। এই ধরণীকে আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপযোগী রাখতে হবে। বৈশ্বিক চেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকেও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url