জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড - ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব, জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ভোটার
আইডি কার্ড অনলাইন কপি কিভাবে বের করবেন তার উপায় সম্পর্কে। জাতীয় পরিচয় পত্র
ডাউনলোড ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি বের করার নিয়ম জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন প্রিয় দর্শক আলোচনা করা যাক
কিভাবে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি বের
করবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড এবং ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি বের করার নিয়ম গুলো আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা এইজন্য প্রয়োজন যে, NID কার্ড নামের ছোট্ট এই ডকুমেন্টসটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, অফিস আদালত সকল জায়গায় বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এটি দেখতে ছোট্ট একটি কার্ডের মতন দেখালেও এর মধ্যে রয়েছে আমাদের নাম ঠিকানা সহ বিস্তারিত তথ্য।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজে যেহেতু এটি আমাদের প্রয়োজন হয় সেই জন্য আমাদের
প্রত্যেকেরই উচিত জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম এবং ভোটার আইডি কার্ড
অনলাইন কপি বের করার নিয়ম গুলো জেনে রাখা এতে করে সুবিধা হল আমরা যখন তখন
বিভিন্ন প্রয়োজনে কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার
করতে পারবো। এবার তাহলে জেনে নিন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড এবং ভোটার
আইডি কার্ড অনলাইন কপি সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্রঃ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড - ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড
- ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা খরচ হয়
- ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড
আজকে আমাদের পোস্টের মূল আলোচনার বিষয় হলো জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার
নিয়ম। জাতীয় পরিচয় পত্র এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনসিটিভ একটি বিষয়, আর এই
কারণেই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম গুলি আপনাকে খুব মনোযোগ দিয়ে এবং
সতর্কতার সাথে করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা খুব একটি ঝামেলার বিষয়
নয় আপনি যদি চেষ্টা করেন তাহলে অনলাইন থেকে নিজে নিজেই জাতীয় পরিচয় পত্র
ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন আর আপনার এই কাজে সহযোগিতার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র
ডাউনলোড করার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো।
কয়েকটি ধাপ বা স্তরের মধ্যে দিয়ে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি যদি ও এস পরিচালিত হয় তাহলে আপনি এ মোবাইলের মধ্যে দিয়েই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ও এস অনুমোদিত হতে হবে। এবার আপনাকে NID Wallet নামের একটি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করতে হবে।
NID Wallet অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে আপনাকে দেখতে হবে আপনার ফোনে গুগল
ক্রোম ব্রাউজারটি ইন্সটল করা আছে কিনা অধিকাংশ সখ্য নেই গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি
ইন্সটল করা থাকে আপনার ফোনে যদি এই ব্রাউজারটি ইন্সটল করা না থাকে তবে অবশ্যই
এটিও গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিতে হবে। এবার আপনাকে প্রবেশ করতে হবে
জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবং এখানে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে
নিতে হবে । জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট
করাটা অত্যন্ত জরুরী কারণ আপনি যদি এখানে অ্যাকাউন্ট না করেন তাহলে আপনি কোনভাবেই
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না ।
এরপর আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে services.nidw.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে এরপর এখানে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হবে, আপনি যদি আগে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তবে সেই রেজিস্ট্রেশন এর নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন, আর যদি আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে না থাকেন তবে রেজিস্ট্রেশন লেখা অপশনে ক্লিক করে নতুন রেজিস্ট্রেশন করে নিন। এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনি যে একাউন্টটি ক্রিয়েট করবেন সেটাতে অবশ্যই আপনার আইডি কার্ডের নম্বর নির্দিষ্ট জায়গাতে বসাতে হবে এরপর যথাক্রমে জন্ম তারিখ বসাতে হবে তারপর একটি কোড বসাতে আপনাকে বলা হবে যেটাকে ক্যাপচা কোড বলা হয় এটি বসিয়ে সাবমিট করে দিতে হবে।
সাবমিট করা হয়ে গেলে এরপর আপনার কাছে প্রেজেন্ট এবং পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস চাওয়া হবে তারপরে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ইত্যাদি নাম গুলো যথাস্থানে বসিয়ে আবার সাবমিট করে দিতে হবে। সাবমিট করা হয়ে গেলে আপনার সামনে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করার জন্য এবং মোবাইল নম্বরের OPT কোডের জন্য দুইটি অপশন আছে ।
আরোও পড়ুনঃ বিকাশের কি ভুলে গেলে কিভাবে চেঞ্জ করবেন বিস্তারিত জানুন।
আপনি যদি মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে চান তাহলে যেখানে আপনার মোবাইলে কয়েকটি ডিজিট দেখাবে সেখানে ক্লিক করবেন আর যদি , আগের নম্বরে OTP কোড নিতে চান তাহলে দ্বিতীয় অপশনে ক্লিক করবেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে একটি কোড পাঠানো হবে নির্দিষ্ট স্থানে এই কোডটি বসিয়ে দিলে আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে যাবে এবং এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য আপনার আর কোন বাধা থাকবে না।
আপনার অ্যাকাউন্টটি যদি সফলভাবে ক্রিয়েট হয়ে থাকে তাহলে আপনার সামনে open NID
wallet নামে একটি লেখা চলে আসবে এই লেখাটি সিলেক্ট করলে আপনি যেই এনআইডি ওয়ালেট
অ্যাপটি ইন্সটল করেছিলেন। এর মধ্যে আপনার ফেস স্ক্যান করা হবে, আপনার ফেস স্কান
হয়ে গেলে আপনার সামনে শো করবে ডাউনলোড অপশনটি। এই ডাউনলোড অপশনটিতে
ক্লিক করলেই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং
সেটি আপনার প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহারও করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি
আমরা আজকে আলোচনা করব ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি কিভাবে বের করা যায় সেই
সম্পর্কে। ভোটার আইডি কার্ড যেহেতু একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্টস এই কারণে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ভোটার আইডি কার্ড
প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপিটি প্রয়োজন অনুসারে মোবাইল এবং
কম্পিউটার থেকে বের করে নেওয়া যায়। তবে আমাদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন
কপি বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানা নেই। যারা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি
বের করতে পারেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে নির্দেশনা গুলো অনেক উপকারে আসবে
বলে আশা করছি। করছি চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক অনলাইন কপি বের করার
নিয়ম।
- ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর
- জন্ম তারিখ
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
- জেলা , থানা , উপজেলা, ইউনিয়ন , ওয়ার্ড ইত্যাদির নাম
- মোবাইল নম্বর
- ফেস স্ক্যান
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url