ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম - চুল কাটার সুন্নতি তরিকা

বর্তমান যুগে আমরা নারী পুরুষ সবাই বিভিন্ন ফ্যাশন করার জন্য হরেক রকমের চুলের কাটিং করে থাকি যে কাটিংগুলো সম্পূর্ণভাবে মিলে যায় বিধর্মীদের সাথে, কিন্তু এটি কি ইসলামে জায়েজ আছে? আজকে আপনাদেরকে জানাবো ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার সুন্নতি তরিকা সম্পর্কে। ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার সুন্নতি তরিকা জানতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন।

আমাদের সৌন্দর্যের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে চুল। অনেকে লম্বা চুল রাখতে পছন্দ করে আবার অনেকে একটু ছোট চুল রাখতে পছন্দ করে কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যাদের লম্বা চুল তারাও বিভিন্ন ধরনের হেয়ারকাট করে ফ্যাশন করে এবং যাদের ছোট চুল তারাও এ কাজটি করে। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে বা চুল অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে সেই কারণেও আমাদের চুল কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় কিন্তু চুল কাটার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার সুন্নতি তরিকা। আপনি যদি ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার সুন্নত তরিকা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি করার মাধ্যমে অবশ্যই এই বিষয়টি জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম - চুল কাটার সুন্নতি তরিকা

ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম

কথায় আছে মেয়েদের অর্ধেক সুন্দর্য তার চুলে ,যার চুল ঘন লম্বা তাকে দেখতে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সুন্দর লাগে আর এই কারণে মেয়েরা চুলের প্রতি এত যত্নশীল। চুল নিয়ে মেয়েদের ভাবনার যেন শেষ নেই এবং সেই চুল সুন্দর দেখাতে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার কাটিং করতেও দেখা যায়। নিজেকে সুন্দর করে তুলতে মেয়েরা কত ধরনের না হেয়ার কাটিং করে থাকে যেমন-বব কার্ট , লেয়ার কার্ট, ইউ কার্ট, ভি কার্ট,ব্লান্ট কার্ট ইত্যাদি।

কিন্তু আমরা সবাই কি জানি, ইসলাম মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম সম্পর্কে কি বলে বা ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম গুলো কি কি । আমরা আমরা অধিকাংশই হয়তো জানি না ইসলামের মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম সম্পর্কে কি বলার রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক ইসলামের মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম কি। ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সেজন্য ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম সম্পর্কেও বলা রয়েছে।

ফ্যাশনের জন্য ইসলামে মেয়েদের চুল কাটা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। কোন কারণ ছাড়া আপনি যদি শুধুমাত্র ফ্যাশনের উদ্দেশ্যে অথবা সুন্দর লাগানোর উদ্দেশ্যে চুল কাটেন তবে ইসলামে এটি সম্পূর্ণ নাজায়েজ। তবে হ্যাঁ 

  • অতিরিক্ত বড় চুল হলে আপনি চার আঙুল অর্থাৎ ২ ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটতে পারবেন।
  • আপনার চুলে অথবা মাথার সমস্যা জনিত কারণে চুল কাটতে পারবেন।
  • কোন কারনে ডাক্তার যদি আপনার চুল সম্পূর্ণ কেটে ফেলার পরামর্শ দেয় অথবা চুল ছোট করার পর অবশ্যই দেয় তবে আপনি চুল কাটতে পারবেন।
  • কোন কারনে আপনার যদি চুল ছোট করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন ধার পর্যন্ত অর্থাৎ ছেলেদের বাবরি চুলের মতন হয়ে না যায়।
  • যদিও অল্প পরিমাণে চুল কাটার বিধান আছে তার পরেও, এমন যদি হয় যে কারো চুল সামান্য একটু কাটলে সেটি দেখতে ছেলেদের বাবরি চুলের মতন হয়ে যাবে তাহলে অল্প করেও চুল কাটা যাবে না।
  • যে ধরনের চুল কাটলে বিধর্মীদের চুলের মতন দেখায় সেই রকম ভাবে চুল কাটা যাবে না।
  • শুধুমাত্র ফ্যাশনের উদ্দেশ্যে চুল কাটা নিষেধ

ইসলামে নারীদের চুল লম্বা রাখতে বলা হয়েছে। হাদিস এবং ধর্মীয় গ্রন্থগুলো থেকে জানা যায় যে রাসুল(সা) এর স্ত্রীগণের চুল লম্বা ছিল। ছেলেদের মতন বাবরি চুল রাখা মেয়েদের একেবারেই উচিত নয়।আব্দুল্লা ইবনে আব্বাস (রা) থেকে জানতে পারা যায়, নবীজি বলেন-পুরুষদের মতন রুপ ধারণকারী নারী এবং নারীদের মতন রুপ ধারণকারী পুরুষদের উপরে লানত (বুখারী৫৮৮)।

এছাড়াও কোন সময় যদি কোন কারণবশত একটু আটটু চুল কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন বিধর্মীদের মতন না হয়ে যায়, কারণ বিধর্মীদের ফলো করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। এই প্রসঙ্গে এক হাদিস থেকে বর্ণনা পাওয়া যায় নবীজি বলেন-যে যার মতন সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, কেয়ামতের দিন সে তার দলভুক্ত হবে ( আবু দাউদ ৪০২৭)

চুল কাটার সুন্নতি তরিকা

নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য চুল কাটার সুন্নতি তরিকা রয়েছে। চুল কাটার সুন্নতি তরিকা মোতাবেক চুল কাটলে এর মাধ্যমে যেমন সুন্নত পালন হয় যায়। আপনার যদি জানা না থাকে নারী ও পুরুষদের চুল কাটা সুন্নতি তরিকা কি তাহলে এক্ষুনি জেনে নিন। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করে ফেলা যাক চুল কাটা উন্নতি তরিকা নিয়ে আলোচনা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই আলাদা চুল কাটা সুন্নতি তরিকা রয়েছে। নিচে উভয়েরই চুল কাটার সুন্নতি তরিকাগুলো আলোচনা করা হলো।

আরোও পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দুর করার উপায় গুলো জানুন

ছেলেদের চুল কাটার সুন্নতি তরিকাঃ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাত্র এহরাম এরপর মাথা মুন্ডন করতেন এছাড়া অন্য কোন সময় নবীজিকে মাথা মুন্ডন করতে দেখা যায়নি সুতরাং এহরামের পর মাথা মুন্ডন করা সুন্নত। ইসলামের ছেলেদের বাবরি চুল রাখার কথা বলা হয়েছে, বিভিন্ন আলেমদের মতে পুরুষেরা বাবরি চুল তিন ভাবে রাখতে পারে ।যথা,

  • দুই কাঁধ সমান করে বাবরি চুল রাখা
  • ঘাড়ের সোজাসুজি বাবরি চুল রাখা
  • ২ কানের লতি পর্যন্ত চুল রাখা

ছেলেদের চুলের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন এত বড় না রাখা হয় যেটি দেখতে মেয়েদের চুলের মতন লাগে । আরো খেয়াল রাখতে হবে চুল কাটার তরিকা যেন বিধর্মীদের স্টাইলের অনুসরণ না হয়ে যায়। বিধর্মীদের মতন করে চুল কাটা ছেলেদের জন্য নাজায়েজ (মিশকাত-৩৮১ ,২৩২ ,৩৮০)

মেয়েদের চুল কাটার সুন্নতি তরিকাঃ বিনা কারণে যদিও মেয়েদের চুল কাটা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ তার পরেও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন সমস্যার জন্য চুল কাটতে হয়। তবে চুল কাটার আগে মেয়েদেরও অবশ্য সতর্ক থাকতে হবে যেন চুল কাটার সুন্নতি তরিকা মোতাবেক চুল কাটা হয়। মেয়েদের চুল কাটার সুন্নতি তরিকা হল,

  • অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে যদি কাটার প্রয়োজন পড়ে তবে খুব বেশি হলে ২ ইঞ্চি পরিমাণ কাটতে পারবে
  • চুল কাটলে এমন ভাবে কাটতে হবে যেন সেটি দেখতে ছেলেদের বাবরি চুলের মতন না দেখায়
  • ফ্যাশনের উদ্দেশ্যে বা অন্য যেকোনো কারণে বিধর্মীদের অনুসরণ করে চুল কাটা যাবে না।

চুল কাটার নির্দিষ্ট দিন

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় যে চুল কাটার নির্দিষ্ট দিন আছে কিনা সে সম্পর্কে। এবার আমরা জেনে নেব চুল কাটার নির্দিষ্ট দিন সম্পর্কে। চুল কাটার দিন নিয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। অনেকে মনে করেন সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে চুল কাটলে বিভিন্ন অমঙ্গল , ক্ষয়ক্ষতি , বিপদ-আপদ হতে পারে। আবার অনেক সময় মনে করা হয় সপ্তাহের কোন নির্দিষ্ট দিনে চুল কাটলে সেটি সুখ শান্তি বয়ে নিয়ে আসবে এবং বিপদ আপদ কেটে যাবে। এইরকম ধারণা করা আসলে মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। চুল কাটার দিন সম্পর্কে অনেকের মধ্যে অনেক রকম চিন্তা চেতনা থাকলেও আসলে চুল কাটা নিয়ে ইসলামে কোন নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে দেওয়া নেই। যে কোন মানুষ প্রয়োজন অনুসারে সপ্তাহের যেকোনো দিনে বা যে কোন সময় চুল কাটতে পারবে ,এতে কোন সমস্যা নেই।

চুল কাটা সম্পর্কিত হাদিস

পোস্ট এর উপরের অংশে আমরা চুল কাটার সুন্নতি তরিকা সম্পর্কে জেনেছি এবার আমরা জেনে আসি চলুন চুল কাটা সম্পর্কিত কিছু হাদিস। চুল কাটা সম্পর্কিত হাদিস গুলোতে নবীজি (সা) কি বলেছেন সেগুলো জেনে নেওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই দরকার। চুল কাটা সম্পর্কিত হাদিস গুলো শুধু জানা নয়, এগুলো মানাও জরুরী,

হযরত আব্বাস (রা) থেকে জানা যায় নবীজি বলেন-নারীদের মতন পুরুষদের এবং পুরুষদের মতন নারীদের চেহারা ধারনকারীর উপর আল্লাহর লানত (বুখারী৫৮৮৫) এ থেকে বোঝা যায় যে পুরুষদের জন্য এত বড় চুল রাখা যাবে না যে এটি দেখতে মেয়েদের মতন লাগে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রেও এইরকম বাবরি কাট করা যাবে না যেটি দেখতে ছেলেদের মতন দেখায়

অন্য জাতি অথবা বিধর্মীদের অনুসরণ করে চুল কাটা যাবে না এই প্রসঙ্গে ও হাদিসে এসেছে যে-ব্যক্তি যে সম্প্রদায় কে ফলো করবে, কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি ওই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হবে(আবু দাউদ ৪০২৭) সুতরাং এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে আপনি যদি বিধর্মীদের অনুসরণ করে চুল কাটেন বা অন্য কোন কাজ করেন তাহলে অবশ্যই কিয়ামতের দিন আপনাকে বিধর্মীদের সাথে আল্লাহ পাক দাঁড় করাবেন।

বিভিন্ন সময় আমরা এমন স্টাইলের চুল কাটা দেখতে পাই যেগুলোতে সামনে ছোট থাকে এবং পেছনে বড় থাকে। আবার এমনও দেখা যায়, অনেকে মাথার চুলের কিছুটা অংশ নেড়া করেছে আবার কিছুটা অংশে চুল রেখে দিয়েছি। এইভাবে চুল কাটার সম্পর্কে ইবনে ওমর (রা) থেকে জানতে পারা যায় একটি হাদিসে এসেছে নবীজি - ক্বাযা করতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ইবনে ওমর (রা) এর কাছে জানতে চাওয়া হলো ,ক্বাযা কী? তখন তিনি উত্তরে বললেন যে, মাথার খানিক অংশে চুল কেটে ফেলা এবং খানিক অংশের চুল রেখে দেওয়াকে ক্বাযা বলে।(বুখারী ৫৯২১ , সহীহ মুসলিম ২১২০)

নারীদের চুল কাটা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

ইসলাম ধর্মের মধ্যে ছোট বড় খুঁটিনাটি সব বিষয়েই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না।নারীদের চুল কাটা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সেটি আমরা অধিকাংশই জানিনা। নারীদের চুল কাটা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। নারীদের চুল সম্পর্কে ইসলাম কি বলেছে। ইসলামের নারীদের চুল কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। তবে কারো যদি সমস্যা থাকে, কোন অসুখ থাকে তবে সে চুল কাটতে পারবে , তবে তাকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে তার চুল কাটা যেন কোনভাবেই ছেলেদের বাবরি চুল বা ছেলেদের মতন চুল কাটা না হয়ে যায়।

আরোও পড়ুনঃ কোন রাশি সবচেয়ে ভাল কোন রাশির মেয়েরা সবেচেয়ে ভাল হয়। 

চুল কাটার সময় পারো তো পক্ষে দুইটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে প্রথমটি হল , চুল এমন ভাবে কাটা যাবে না যেভাবে কাটলে দেখতে ছেলেদের মতন লাগে অথবা ছেলেদের মতন বাবরি চুল রাখা যাবে না, এবং দ্বিতীয় যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো কোনভাবেই যেন বিধর্মীদের ফ্যাশনের মতন চুল কাটা না হয়। এছাড়া ইসলামে নারীদের চুল কাটা সম্পর্কে বলা হয়েছে কোন নারী তার স্বামী অনুমতি ব্যতীত চুল কাটতে পারবেনা। তবে শুধুমাত্র স্বামীর জন্য সাজসজ্জার উদ্দেশ্যে, স্বামীর আদেশ নিয়ে চুল কাটতে পারবে। ইসলামের নারীদের চুল লম্বা রাখতে বলা হয়েছে তবে অতিরিক্ত লম্বা হয়ে গেলে খুব বেশি হলে ২ ইঞ্চি পরিমাণ কাটা জায়েজ আছে

ইসলাম ধর্মে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া রয়েছে কিভাবে চুল কাটা যাবে এবং কিভাবে চুল কাটা যাবে না। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি , ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার সুন্নতি তরিকা সম্পর্কে । ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম কানুন সম্পর্কে যেগুলো বলা রয়েছে সেগুলো আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত কারণ, যেহেতু ইসলামে মেয়েদের চুল কাটার নিয়ম এবং চুল কাটার উন্নতির তালিকা সম্পর্কে বলা রয়েছে সেহেতু এর পিছনে নিশ্চয়ই  কোন উপকারী দিক রয়েছে। আর যেহেতু ইসলামে এই জিনিসগুলো নিষেধ করা সেহেতু এটি লংঘন করা আমাদের কোনোভাবেই উচিত নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url