মাথার চুল ঘন করার উপায় - মাথার চুল লম্বা করার উপায়
সূচিপত্রঃ মাথার চুল ঘন করার উপায় - মাথার চুল লম্বা করার উপায়
- মাথার চুল ঘন করার উপায়
- মাথার চুল লম্বা করার উপায়
- মাথার চুল পাতলা হওয়ার কারণ
- মেয়েদের চুল পাতলা হওয়ার কারণ
- চুল পড়া বন্ধের ঔষধ
মাথার চুল ঘন করার উপায়
মাথার চুল ঘন করার পেছনে সবচেয়ে বড় কৌশল যেটি সেটি হল চুলের সঠিক পরিচর্যা। আপনি যদি চুলের সঠিক পরিচর্যা বা যত্ন করেন তাহলে আপনার মাথার চুল ঘন হতে পারে । তবে তবে চুলের সঠিক পরিচর্যা করার জন্য জানতে হবে ,পরিচর্যা করার সঠিক উপায়। তাই আপনার যদি মাথার চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে আইডিয়া বা ধারণা না থাকে তাহলে এ বিষয়ে । আজকে যেহেতু আলোচনা করা হবে মাথার চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে , তাই আপনি যদি মাথার চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টের এই অংশটি এখনই পড়ে ফেলুন।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেন বা পুষ্টিকর খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে থাকেন তাহলে এটি আপনার মাথার চুল ঘন করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করবে। কারণ পুষ্টিকর খাবার ভেতর থেকে আমাদের চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
মাথায় ডিম ব্যবহারঃ একটি ডিমের সাদা অংশ একটি বাটিতে ভালোভাবে ফেটিয়ে সেটি আপনার চুলে লাগান। এরপর সেটি ২-১ মিনিট আস্তে আস্তে আঁচরিয়ে ২৫-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি মাথার ত্বকে ডিম ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি আপনার নতুন চুল গজাতে এবং মাথার চুল ঘন করতে সাহায্য করবে কারণ জিমে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রোটিন।
ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করাঃ শ্যাম্পু কতটা বেশি দামি হলো সেটি বড় কথা নয় দেখতে হবে আপনি আপনি যেই সম্প্রতি ইউজ করছেন সেটি আপনার মাথার চুলের জন্য পারফেক্ট কিনা । আপনি যদি সঠিক শ্যাম্পু বাছাই করতেন না পারেন তাহলে আপনার চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং আপনার চুল যেহেতু উঠে যাবে সেহেতু চুল পাতলা হয়ে যাবে। অবশ্যই ২-৩ ভালো ভাবে শ্যম্পু করা তবে সেই সম্পত্তি হতে হবে মানসম্মত। আপনি মানসম্মত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে এটি আপনার চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে এবং চুলের ধরে যাওয়ার রোধ করে মাথার চুল ঘন করতে সাহায্য করবে।
হট অয়েলঃ অয়েল সপ্তাহে ২-৩ দিন গোসলের আগে চুলের জন্য উপকারী এমন যেকোনো তেল সামান্য গরম করে সেটি মাথায় ৫-৬ মিনিট আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় হট অয়েল মাসাজ।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ চুল ঘনকরার আরেকটি কার্যকরী উপাদানের নাম হলো অ্যালোভেরা জেল,একটি পাত্রে ৪-৫ চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ও তার সাথে ২-৩ চামচ মধু মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারকুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন এবং ২৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
হেয়ার প্যাকঃ অবশ্যই সপ্তাহে ২ দিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা বাঞ্চনিয়।আপনি যদি বাইরের হেয়ার প্যাক ব্যবহার না করতে চান তাহলে বাসায় টক দই,মধু ও ডিম দিয়েই ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। বাইরের কেনা হেয়ার প্যাকের চাইতে ঘরে তৈরি করা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে আপনার চুল দ্রুত ঘন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে ।
আরো পড়ুনঃ পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
পেঁয়াজের রস ব্যবহারঃপেয়াজের রস আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন আপনার মাথার ত্বকে পেয়াজের রস দিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন।
মেথিঃএকটি পাত্রে সারারাত মেথি ভিজিয়ে সেটা পরেরদিন ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে একটি প্যাস্ট ব্যবহার বানিয়ে সেটি আপনার চুলে লাগান ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত এর পর এটি ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
চুল লম্বা করার উপায়
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে এবার আমরা জেনে নেব চুল লম্বা করার উপায় গুলো কি কি । আপনি যদি একটু লম্বা করার উপায় গুলো খুঁজে থাকেন তাহলে, আপনাকে আর বিভিন্ন জায়গায় লম্বা করার উপায় খুঁজতে হবে না কারণ আপনি এই একটি পোস্টের মধ্যেই চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কেও জানতে পেরে যাবে। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করে ফেলি মাথার চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ।
আপনি যদি লম্বা করার উপায়গুলো খোঁজেন তাহলে দেখতে পাবেন এর জন্য সঠিক সময়ে সঠিক যত্ন নিতে হবে এবং পুষ্টিকর , ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, চুল পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি বিষয় গুলোর উপরে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এই বিষয়গুলো ছাড়াও চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে আরও যেসব বিষয়গুলো প্রাধান্য দিতে হবে সেগুলোর নিচে একে একে তুলে ধরা হলো।
- পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা
- পুষ্টি কর খাবার খাওয়া
- ফলমুল খাওয়া
- সপ্তাহে ২-৩ দিন মাথায় তেল দেওয়া।
- সালফাইটমুক্ত, সিলিকন কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা।
- সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন হট অয়েল মাসাজ করা
- ভিটামিন ডি , ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবার গুলো বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করা
শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় কোনো ধরনের ঘসা-ঘসি না করা এবং প্রচন্ড গরম পানি না ব্যবহার করা মেহেদী বেটে নিয়ে সেখানে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল বা যেকোনো তেল মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন চালের ধোঁয়া পানি গোসলের সময় বা গোসলের আগে ব্যবহার করবো
চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণ
মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো দুইটি, প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো হেয়ার ফল এবং দ্বিতীয় কারণ হলো হেয়ার ফলের পাশাপাশি নতুন চুল না গজানো। সাধারণত যখন খালি হেয়ার ফল হতেই থাকে এবং যে পরিমাণে হেয়ার ফল হয় সেই অনুযায়ী নতুন চুল গজায় না তখনই মাথার চুল পাতলা দেখায় বা পাতলা হতে । মাথার চুল পাতলা হওয়ার কারণে পেছনে এই দুটি প্রধান কারণ ছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এবার আমরা চলুন তাহলে জেনে নি মাথা চুল পাতলা হওয়ার কারণ গুলো মাথার চুল পাতলা হওয়ার কারণ গুলো হলো,
- জেনেটিক কারণে মাথার চুল পাতলা হতে পারে
- শরীরে অ্যান্ড্রজেন হরমোন নিঃসরণে তারতম্য দেখা দিল
- প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ এর ফলে হেয়ার ফল বেশি হয় যার কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়।
- চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ডায়াবেটিস
- যদি মাথার ত্বকে ফাংগাসের আক্রমণ হয় তাহলে হেয়ার ফলের মাধ্যমে চুল পাতলা হয়ে যায়।
মেয়েদের চুল পাতলা হওয়ার কারণ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের চুল বেশি পাতলা হয় অথবা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে হেয়ার ফলের পরিমাণ বেশি দেখা যায় এর কারণ কি? চলুন আজকে আমরা এর কারণগুলো জেনে নিব। আজকে আমরা জানবো মেয়েদের চুল পাতলা হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে। আমরা পোষ্টের উপরের অংশে আলোচনা করেছি পাতলা হওয়ার কারণ, বলা যায় যে উপরিউক্ত চুল পাতলা হওয়ার কারণগুলো ছাড়াও মেয়েদের চুল পাতলা হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। চলুন এবার এক এক করে জেনে নে মেয়েদের চুল পাতলা হওয়ার কারণ গুলো,
আরো পড়ুনঃ ব্রন দূর করার উপায়
- মাথার ত্বকের অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা
- বর্তমান যুগের মেয়েরা সুন্দর দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চুলের স্টাইল করে থাকে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্টাইল গুলো হলো-হেয়ার রিবন্ডিং করা, হেয়ার কালার করা ইত্যাদি এই স্টাইলগুলো চুলের উপরে প্রভাব পড়ে এবং এয়ার ফলের মাত্রা বেশি হয় যার ফলশ্রুতিতে দেখা যায় চুল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই পাতলা হয়ে গেছে।
- গর্ভবতী মেয়েদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের আধিক্য দেখা দেয়। প্রেগনেন্ট অবস্থায় হরমোনের এই আধিক্য চুল পড়ে যাওয়ার বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
- এছাড়াও, বিভিন্ন অসুখের কারণেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে যেমন-ডায়াবেটিস , প্রেসার , ইউরিন ইনফেকশন ইত্যাদি।
চুল পড়া বন্ধের ঔষধ
অনেক মানুষের হেয়ার ফল হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে যায় যে মাথার চুল অনেক অংশে কমে যায় এবং টা পড়ে যায়। এই ধরনের রোগীদের জন্য সাজেশন থাকবে যে আপনি ভালো একজন হেয়ার এক্সপার্ট দেখিয়ে এদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন মেডিসিন বা ঔষধ সেবন করতে পারেন । ঘন করার ঘরোয়া উপায় গুলোর পাশাপাশি আপনি যদি কোন হেয়ার এক্সপার্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করেন তাহলে এটি আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে এবং মাথার চুল ঘন করতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধের ঔষধ এর নাম। চুল পড়া বন্ধের ঔষধ গুলো হল
- Floriz
- E-cap
- Trugain Scalp Lotion
- Minoxidil
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url