ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ -

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ যে অসুখের নাম সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে তা হল ডেঙ্গুজ্বর। প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে দেশে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে ভালোভাবে জানি তাহলে এই ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর হতে রক্ষা পাব। তাই আমাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।


এ পোস্টে আমি বিশেষত আপনাদের কাছে আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার, ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল, এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান বাহক এডিস মশাকে ধ্বংস করার উপায়, বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু হলে কি কি খেতে হবে রক্তের প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়, এডিস মশা কামড়ানোর সময়কাল, কিভাবে এডিস মশা জন্ম হয়, এবং এডিস মশার পরিচয় সম্পর্কে। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এ পোস্টটি আপনাকে গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্র: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর কি

ভাইরাস জনিত অসুখের নাম বলতে প্রথমে আসে ডেঙ্গু জ্বরের কথা । এডিস মশার কামড়ে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। সাধারণত গরমকালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে কারণ এ সময় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। আগে ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র দিনে কামরাতো এখন ডেঙ্গু মশা রাতেও কামড়ায়। প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে আমাদের দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। কারণ আমরা ডেঙ্গু জ্বর হলে কি করণীয় তা জানিনা। ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার উপায়ও জানি না।তাই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে।
এডিস মশার পরিচয়
যে মশার কামড়ে আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে সেই মশার নাম হলো এ ডিস মশা। তাদের দেহে দুই ধরনের রং রয়েছে সাদা এবং কালো। অন্যান্য মশা চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকারক এই এডিস মশা। এই এডিস মশা ভাইরাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে না জানি তাহলে খুব সহজেই আমরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হব। এডিস মশা দুই ধরনের হয়ে থাকে পুরুষ এবং স্ত্রী মশা। স্ত্রী মশার আয়ু কল বেশি হলেও পুরুষ মশার আয়ুকাল অনেক কম। এই অল্প আয়ু নিয়েই এডিস মশা আমাদের মধ্যে ভাইরাসজনিত ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে।
এডিস মশার আয়ু কালমাত্র একদিন বেঁচে থাকে পুরুষ মশা

এডিস মশার কামড়ানোর সময় কাল

এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে কামড়ায়। তবে এরা খুব সকালে, দুপুরে , বিকালে এবং সন্ধ্যার আগে কিংবা সন্ধ্যার পরেও কামড়াতে পারে। তবে এডিস মশা এখন সব সময় কামড়াচ্ছে। দিনের আলোর পাশাপাশি তারা রাতেও মানুষকে কামড় দেয় এবং ভাইরাসজনিত জ্বর ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে। এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। দিনে বা রাতে যখনই আমরা ঘুমাই না কেন আমাদের সব সময় কয়েল কিংবা মশারি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খুব সাবধানে রাখতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানি এবং অন্যকে জানায় তাহলে সকলে সচেতন হতে পারবে। এবং ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে পারবে।

ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণগুলো

ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত সব ধরনের মানুষের হয়ে থাকে। বাচ্চাদের তুলনায় বড়দের ডেঙ্গু জ্বর বেশি হয়ে থাকে। তারপরেও আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের চেয়ে অনেক কম। বড়দের চেয়ে শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতার হার বেশি। তাই শিশুদের সাবধানে রাখতে হবে। যদি বাচ্চার জ্বর হঠাৎ করেই ১০৩ কিংবা ১০৪ হয় সাথে শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চাটি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। 
আরো কিছু লক্ষণ ও দেখা দিতে পারে পুরো শরীরে প্রচুর ব্যথা, বমি বমি ভাব এমনকি বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বর্তমান সময়ে ভয়াবহ যে জ্বরের নাম আসে তা হল ডেঙ্গু জ্বর। যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। চলুন তাহলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে
শরীরের তাপমাত্রা অসম্ভব রকম বেড়ে যায়। হঠাৎ করে জ্বর ১০৩ , ১০৪ এমনকি ১০৫ পর্যন্ত হতে পারে।
প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
চোখের পেছনে ব্যথা করে।
কখনো কখনো পায়খানার রং কালো হয়ে যায়।
শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়।
বমি বমি ভাব হয়।
রোগী কোন কিছুই খেতে পারে না।
রোগীর অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে নাক মুখ এমন কি পায়খানার রাস্তা দিয়েও রক্তপাত হবার সম্ভাবনা থাকে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

আমরা জানি যে এডিস মশা সাধারণত পানিতে ডিম পাড়ে। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে এগুলোতে বেশি মশার বিস্তার হয়। কারণ মশা ঝোপঝাড় এবং অপরিষ্কার ড্রেনে বেশি বিস্তার লাভ করে চলুন তাহলে জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচার জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত
বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝা থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
ছাদে যদি গাছ লাগানো থাকে তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যেন কবে পানি না জমে থাকে।
বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা ভাঙ্গা কলস, নারকেলের খোসা, টায়ার ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। কোন কারনে পানি জমা হলে সেগুলো ফেলে দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার জন্য ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং অন্যকে জানাতে।
যেহেতু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তাই তাদের যেন এডিস মশা কামড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
ঘুমানোর আগে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে ।
যেহেতু মশা ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে বেশি থাকে তাই বাচ্চাদের ড্রেন এবং ঝোপঝাড়ের আশেপাশে খেলাধুলা করতে দিবেন না
প্রয়োজনে মশা নিধন কীটনাশক বা কয়েল ব্যবহার করবেন
প্রয়োজনে গ্রাম অঞ্চল হলে মেম্বার ,চেয়ারম্যান আর শহর অঞ্চল হলে মেয়র বা কমিশনারের সাহায্য নিয়ে মশানিধন করুন
সব সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
উপরের বিষয়গুলো মেনে চললে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছি ।
ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে যেন তাকে কামড়ানো মশা অন্য মানুষকে কামড়াতে না পারে। ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ না হলেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানো মশা যদি অন্য মানুষকে কামড় দেয় তবে তার ডেঙ্গু হবার সম্ভাবনা থাকে।

ডেঙ্গু জ্বর বাংলাদেশে কখন শনাক্ত করা হয়

অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গু জ্বরের সম্ভাবনা বেশি থাকে কারণ বৃষ্টির পানিতে এডিস মশা বেশি পরিমাণে ডিম বাড়তে পারে। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করা হয় ১৯৯৯ সালে। প্রথম দিকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে প্রতিবছর এর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে আছে। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে না জানি তাহলে ডেঙ্গু রোগ আরো বেশি বিস্তার লাভ করবে এবং এমন এক পর্যায়ে চলে যাবে যেটা নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ১৯৯৯ সাল থেকে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করা হলেও এবারের মত এত ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত বছরই হয়নি। এর প্রধান কারণ হলো অধিক বৃষ্টিপাত। ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সকলের মধ্যে আলোচনা করতে হবে এবং কি করে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায় তা শিখতে হবে। প্রথমে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে যেন এডিস মশা কোনোভাবেই বংশবিস্তার করতে না পারে। 
যে স্থানগুলোতে মশা ডিম পাড়তে পারে এমন পরিবেশ নষ্ট করে দিতে হবে। যাতে এডিস মশা ডিম পাড়তে না পারে। ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান বাহক এডিস ইজিপিট মশা। আমরা জানি যে ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান বাহক এডিস মশা। কিন্তু সব মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয় না। সাধারণত পুরুষ মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয় না। স্ত্রী মশার কামড়ে মানুষের ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে।
মন্তব্য, উপরিক্ত আলোচনা হতে বোঝা গেল যে আমাদের সুস্থ থাকতে হলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারলেই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে যেন মশা বিস্তার লাভ করতে না পারে। আপনি যদি উপরের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সকলের সম্মলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তাহলেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এডিস মশার পরিচয়

যে মশার কামড়ে আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে সেই মশার নাম হলো এ ডিস মশা। তাদের দেহে দুই ধরনের রং রয়েছে সাদা এবং কালো। অন্যান্য মশা চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকারক এই এডিস মশা। এই এডিস মশা ভাইরাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে না জানি তাহলে খুব সহজেই আমরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হব। এডিস মশা দুই ধরনের হয়ে থাকে পুরুষ এবং স্ত্রী মশা। স্ত্রী মশার আয়ু কল বেশি হলেও পুরুষ মশার আয়ুকাল অনেক কম। এই অল্প আয়ু নিয়েই এডিস মশা আমাদের মধ্যে ভাইরাসজনিত ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে।
এডিস মশার আয়ু কালমাত্র একদিন বেঁচে থাকে পুরুষ মশা
এডিস মশার কামড়ানোর সময় কাল
এডিস মশা সাধারণত দিনের আলোতে কামড়ায়। তবে এরা খুব সকালে, দুপুরে , বিকালে এবং সন্ধ্যার আগে কিংবা সন্ধ্যার পরেও কামড়াতে পারে। তবে এডিস মশা এখন সব সময় কামড়াচ্ছে। দিনের আলোর পাশাপাশি তারা রাতেও মানুষকে কামড় দেয় এবং ভাইরাসজনিত জ্বর ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টি করে। এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। দিনে বা রাতে যখনই আমরা ঘুমাই না কেন আমাদের সব সময় কয়েল কিংবা মশারি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খুব সাবধানে রাখতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানি এবং অন্যকে জানায় তাহলে সকলে সচেতন হতে পারবে। এবং ভয়াবহ ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে পারবে।

ডেঙ্গু হলে কি খেতে হবে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রথমেই বেশি বেশি ডাবের পানি খেতে হবে। তবে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খাওয়াতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ এবং মুরগির মাংসের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়াতে হবে বেশি বেশি বেদেনা খেতে হবে। কারণ ডেঙ্গু হবার ফলে রোগীর রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। বেদেনা রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে। যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে সেই ফল অধিকারে খেতে হবে।
 টমেটো, শসা, পেঁপে, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, পেয়ারা, ইত্যাদি ফল খাওয়া যাবে। রোগীকে কখনোই অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াবেন না এতে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রোগীকে বেশি বেশি দুধ, ডিম, মাছ, এবং যেসব মাংসের চর্বির পরিমাণ কম সেগুলো খেতে দিন। ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই এর লক্ষণ গুলো সঠিকভাবে জানতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জানতে পারলে আমরা ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করতে পারব।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

আমরা জানি যে এডিস মশা সাধারণত পানিতে ডিম পাড়ে। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে এগুলোতে বেশি মশার বিস্তার হয়। কারণ মশা ঝোপঝাড় এবং অপরিষ্কার ড্রেনে বেশি বিস্তার লাভ করে চলুন তাহলে জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচার জন্য ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত
বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝা থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
ছাদে যদি গাছ লাগানো থাকে তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যেন কবে পানি না জমে থাকে।
বাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা ভাঙ্গা কলস, নারকেলের খোসা, টায়ার ইত্যাদিতে পানি জমতে দেয়া যাবে না। কোন কারনে পানি জমা হলে সেগুলো ফেলে দিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার জন্য ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং অন্যকে জানাতে।
যেহেতু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তাই তাদের যেন এডিস মশা কামড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
ঘুমানোর আগে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে ।
যেহেতু মশা ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে বেশি থাকে তাই বাচ্চাদের ড্রেন এবং ঝোপঝাড়ের আশেপাশে খেলাধুলা করতে দিবেন না
প্রয়োজনে মশা নিধন কীটনাশক বা কয়েল ব্যবহার করবেন
প্রয়োজনে গ্রাম অঞ্চল হলে মেম্বার ,চেয়ারম্যান আর শহর অঞ্চল হলে মেয়র বা কমিশনারের সাহায্য নিয়ে মশানিধন করুন
সব সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
উপরের বিষয়গুলো মেনে চললে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছি ।
ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে যেন তাকে কামড়ানো মশা অন্য মানুষকে কামড়াতে না পারে। ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ না হলেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানো মশা যদি অন্য মানুষকে কামড় দেয় তবে তার ডেঙ্গু হবার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তের প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত দিনে দিনে রক্তের প্লাটিলেট কমতে থাকবে। এক্ষেত্রে রোগীর প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা করতে হবে তাহলে রোগীর প্লাটিলেট কমেছে না বেড়েছে তা জানা যায়। রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে রক্তের প্লাটিলেট ১২০ হাজার থাকে তবে জ্বরের প্রকোপ বাড়তে থাকলে প্লাটিলেট ৫০ হাজারে নেমে আসে। যদি রোগীর রক্তে প্লাটিলেট ৩০ হাজারে নেমে আসে তাহলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানোর ঘরোয়া উপায় হল পেঁপের রস খাওয়াতে হবে। পেঁপের রস খাওয়ানোর ফলে রোগীর প্লাটিলেট বাড়তে থাকে। রোগীকে যদি মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই রোগীকে বেশি বেশি পেপে পাতার রস খাওয়ান। ডেঙ্গুর হাত থেকে যদি আপনি এবং আপনার পরিবারের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করুন।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল এবং পানি খেতে হবে। অন্য কোন ওষুধ খাওয়া যাবেনা। বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। জ্বর যেন ১০৪ ডিগ্রি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।, প্রয়োজনে ১০০ ডিগ্রী তে নামিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্যালাইন এবং বেশি বেশি ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। রোগীর অবস্থা খুব বেশি খারাপ হলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারে কাছে নিতে হবে। ডেঙ্গুর হাত থেকে রোগী বাঁচাতে হলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করা সকলের দায়িত্ব। তাহলে আমরা সকলকে ডেঙ্গু জ্বরের হাত থেকে বাঁচাতে পারবো।
মন্তব্য, উপরিক্ত আলোচনা হতে বোঝা গেল যে আমাদের সুস্থ থাকতে হলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারলেই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে যেন মশা বিস্তার লাভ করতে না পারে। আপনি যদি উপরের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সকলের সম্মলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তাহলেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url