মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী

আরব জাতি যখন কুসংস্কার ,কু প্রথা ,অন্যায়-অত্যাচার আর বিশৃঙ্খলায় আচ্ছন্ন ছিল তখন সেই অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে দিশেহারা, পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্যের আলোর মুক্তি দিতে যিনি বিশ্ব উদ্ভাসিত করে এই পৃথিবীতে আগমন করেন তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহান পুরুষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা)।

ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ও প্রচারক, মানব জাতির মুক্তির দূত এই মহামানব আরব জাতির এক চরম পর্যায়ের সময় আমাদের সকলের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। প্রচারিত ইসলামের মহান আদর্শে আরব বিশ্ববাসী , মৈত্রী , স্বাধীনতা , আহবানে নতুন করে জেগে উঠেছিল । তিনি শুধু একজন ধর্ম প্রচারক বা নবী নন তিনি একজন আদর্শ কর্মী পুরুষ হিসেবেও বিশ্ববাসীর সামনে কীর্তি স্থাপন করে আছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তার প্রচারিত আদর্শ , কর্ম এবং মানবতার শিক্ষা অতুলনীয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

পোস্টে যা যা থাকছে তার সূচিপত্রঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী

জন্ম ও বংশ পরিচয়

আরবের মক্কা নগরীতে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই ই রবিউল আউয়াল সোমবার মক্কার অভিজাত কুরাইশ বংশে হযরত মুহাম্মদ(সা) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালেব ছিলেন একজন সম্মানিত বয়োজ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা। আবদুল মুত্তালিব এর অন্যতম পুত্র আব্দুল্লাহর ও মা আমিনার গর্ভে হযরত মুহাম্মদ (সা) জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পূর্বেই মহানবীর পিতা মৃত্যুবরণ করেন।

শৈশবকাল

বৃদ্ধ দাদা এবং চাচা আবু তালিবের স্নেহ যত্নে তিনি শৈশবে লালিত পালিত হতে থাকেন। দুঃখ কষ্টে তার বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। মহানবির চাচা আবু তালিবের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো ছিল না তাই মহানবীকে বিশেষ কষ্টের মধ্যে দিয়ে বাল্যকাল কাটাতে হয়। শৈশব কাল থেকেই মহানবী ছিলেন সত্যবাদী এবং পরোপকারী তাই লোকে তাকে আল - আমিন বলে ডাকতো। ছোটবেলা থেকেই মহানবী তার চাচার  ব্যবসার কাজে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।

যৌবনকাল ও সাধনা

ব্যবসায়ী কাজের জন্য মহানবীকে যৌবনকালেই অনেক দেশ ভ্রমণ করতে হয়েছিল। এবং যৌবনে তিনি বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে। ২৫ বছর বয়সে তিনি বিবি খাদিজা(রা) এর প্রথম দিন হিসেবে ব্যবসা করতে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যান । তার অতুলনীয় সততা ও বিশ্বাস দেখে বিবি খাদিজা(রা) মুগ্ধ হয়ে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব করেন।

আরোও পড়ুনঃ রমজান মাসের দোয়া রমজান মাসের আমল

চারিদিকে অন্যায় , অত্যাচার , অনিয়ম দেখে মহানবী খুবই ব্যথিত হতেন এবং কিভাবে এগুলো দূর করা যায় সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতে। অধিকাংশ সময় তিনি মক্কা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত হেরা গুহায় আল্লাহর ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ব্যস্ত থাকতেন। ৬১১ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর নির্দেশে জিব্রাইল (আ) এর মাধ্যমে আল্লাহর বাণী লাভ করেন। এবং মহানবী(সা) উপর আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন নাযিল করেন। পবিত্র আল-কোরআন তার ওপর নাযিল হওয়ার পর থেকে তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবী বা রাসূল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। নবুয়ত প্রাপ্তির পরে তিনি আল্লাহর বাণী বিশ্ববাসীর নিকট পৌঁছে দেওয়ায় তার একমাত্র কর্তব্য বলে মনে করেন , তিনি আরব বাসীদের কে বলেন তোমরা মূর্তি পূজা ত্যাগ করো এবং আল্লাহর অস্তিত্বকে বিশ্বাস কর। ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের জন্য তাকে তার প্রিয় জন্মভূমি ত্যাগ করে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করতে হয়।

হযরত মুহাম্মদ (সা) এর  চরিত্র

বিশ্বস্ততা , ন্যায়পরায়ণতা ,সহিষ্ণুতা , ধৈর্যশীলতা , উদারতা , সহনশীলতা ইত্যাদি নানা ধরনের মহৎ গুণের সমাবেশে হযরত মুহাম্মদ (স) এর চরিত্র হয়ে ওঠে অতুলনীয়। সত্যের প্রতি তার অবিচল নিষ্ঠায় তার সমগ্র জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করেছে কেননা সেই 'অন্ধকার যুগের' বর্বর মানুষেরাও তার বিশ্বাস তো তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে তাকে আল - আমিন উপাধিতে ভূষিত করেছিল বলা যায় তিনি একাধারে স্নেহময় পিতা ,প্রেমময় স্বামী, সদাশয় ব্যক্তি এবং বিচক্ষণ শাসক ছিলেন। তার হিজরতের পর মদিনাবাসীর সঙ্গে তার যে চুক্তি হয় তার ইতিহাসে ' মদিনা সনদ' নামে পরিচিত । এ মদিনা সনদকে ঐতিহাসিকগণ "ম্যাগনাকার্টা' হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন , ওই অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে জন্মগ্রহণ করে তিনি একজন দক্ষ শাসকের সম্পন্ন করেছিলেন তার তুলনায় ইতিহাসে বিরল। তিনি প্রাণঘাতী শত্রু কেউ নির্দ্বিধায় ক্ষমা করে দিয়ে তার মহত্ব ও উদারতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মক্কা বিজয়ের কথা স্মরণ করা যেতে পারে কেননা তার মহত্ব ও দয়াশীলতার কারণে প্রায় রক্তপাতহীন অবস্থায় তিনি মক্কা নগরী জয় করেছিলেন । হযরত মুহাম্মদ (সা) এর দারিদ্রতাই ছিল তার গৌরব। তাই আজীবন তিনি দারিদ্র্যের অধিকার সংরক্ষণের প্রতি সচেতন থেকেছেন ।

ইসলাম প্রচার

পবিত্র আল-কোরআন তার উপরে নাযিল হওয়ার পরে তিনি ইসলাম প্রচারের জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য বা দেবতা নেই এই বাণী প্রচার করার জন্য তাকে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আত্মীয়-স্বজন , বন্ধু শত্রু , কোন অত্যাচারী তাকে এই সত্য প্রচার থেকে বিরত করতে পারেনি। সত্যের জয় হবেই এই বিশ্বাসের উপরে নির্ভর করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হলেও তিনি তার এই মহান দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হননি। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তাকে বহুবার বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বদরের যুদ্ধ , ওহুদের যুদ্ধ , খন্দকের যুদ্ধ ইত্যাদি।

মক্কা বিজয়

হযরত মুহাম্মদ (সা) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে  মক্কায় গমন করেন। তার জীবনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো মক্কা বিজয় , বিনা রক্তপাতে এমন অভূতপন্ন কার্য সমাধান করার কাহিনী মানুষের ইতিহাসে বিরল। বছরের রমজান মাসে ১০ হাজার সাহাবী নিয়ে মহানবী (সা) মক্কা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। মহানবী (সা) মক্কার অদূরে 'মারজুদ যাহারান' নামের এক জায়গায় তাবুদের অবস্থান নেন । অপ্রত্যাশিতভাবে এই বিশাল বাহিনী দেখে আবু সুফিয়ানসহ মক্কাবাসী হতবাক হয়ে যাই। তারা বাধা দেওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলে এবং বিনা বাধায় মহানবী (সা) জন্মভূমি মক্কা জয় করেন। ইসলাম রক্ষার জন্য একসময় যেই মোহাম্মদ(সা) কে প্রিয় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদীনায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল, সেই জন্মভূমি জয় করে বীর বেসে তিনি জন্মভূমি মক্কায় প্রবেশ করেন। সকলে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেন এর মাধ্যমে সত্যের জয় হয় এবং মিথ্যার পরাজয় হয়।

মুহাম্মদ (সা) এর জীবন আদর্শ

হযরত মুহাম্মদ(সা) এর জীবনের আদর্শ হল -সাম্য , ভ্রাতিত্ব , শান্তির আদর্শ । তার প্রচারিত ধর্ম কেবল কয়েকটি অনুষ্ঠান ও অনুশাসনের নাম মাত্র নয়, তার আদর্শে জীবনী শক্তি যারা লাভ করে অন্যায় - অসত্য তাদের স্পর্শ করতে পারে না । হযরত মুহাম্মদ (সা) তার জীবনের যে আদর্শ ও বানী রেখে গিয়েছেন তা আজ পর্যন্ত অম্লান হয়ে আছে। আজও তার কর্ম ও বাণী পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র আদর্শ রূপে গৃহীত হয় । বিশেষ করে বিদায় হজের উপদেশ বাণী চির স্মরণীয়। তিনি আরাফাতের ময়দানে ঘোষণা করেছিলেন,

  • সকল মানুষই এক আদমের সন্তান, সুতরাং এক দেশের লোকের ওপর অন্য দেশের লোকের কারণ নেই।
  • নেই এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই
  • মানুষের উপর অত্যাচার করোনা, কারো অসম্মতিতে তার সামান্য পরিমাণ ধন গ্রহণ করো না।
  • নারী জাতির প্রতি নির্মম ব্যবহার করো না। সংসারে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার, নারীর প্রতি পুরুষের যে দাবি।
  • দাস দাসীদের নির্যাতন করবে না, তাদের মিথ্যা অপবাদ দেবে না , নিজেরা যা খাবে তাদেরকেও তাই খাওয়াবে ,নিজেরা যা পড়বে তাদেরকে তাই পরাবে।

পরিবার সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য একজন মানুষের জীবনে যতগুলো গুণ থাকা প্রয়োজন সব গুনেই মহানবী (সা) এর চরিত্রে বিদ্যমান ছিল । তিনি স্ত্রী-কন্যা , পিতা-মাতা , ভাই-বোন , সকলের জন্য আদর্শ ছিলেন। পরিবারের যে কোন সদস্য তার কাছে সাহায্যের আবেদন করলে তিনি তাকে সাহায্য না করে ফিরাতেন না । সকলের সাথে তিনি সবসময় সত্য কথা বলতেন ,মিথ্যাকে তিনি আজীবন ঘৃণা করেছেন। পরিবারের সকলের কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনতেন , কোন বিষয়ে কখনো বিরক্ত প্রকাশ করতেন না। পরিবারের কারো প্রতি রাগ করলে তিনি শুধু মুখ ফিরিয়ে নিতেন ,ভালো-মন্দ কিছুই বলতেন না। তার পরিবারে একাধিক স্ত্রী থাকার পরেও তিনি সকলের সাথে সমান আচরণ করতেন, তারাচরণের কারণে পরিবারের কোন সদস্যের মাঝে কখনো ঝগড়া-বিবাদ হয়নি।

মহানবী (সা) এর সামাজিক আদর্শ

বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠা চালিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে এমন কোন দিক নেই যা তিনি সুন্দর ও কল্যাণমুখী করে যান নি। সামাজিক অত্যাচার ও অন্ধকার অনাচারে নিমজ্জিত আরব সমাজকে তিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শের প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন।

জাহিলি যুগের বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। সামান্য কারণে গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ-বিগ্রহ শুরু হয়ে যেত, হযরত মুহাম্মদ (সা) এর সকল যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মহানবী নারীদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেন ,ইসলামের পূর্ব যুগে আরবের অনেক গোত্রের ও সমাজের নারীদের কোন মর্যাদা ছিল না। সেই সময় নারীরা কেবল পুরুষের ভোগের পাত্রী ছিল ।

আরোও পড়ুনঃ সবে কদরের দোয়া ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন

মহানবী নারীদের এসব দুর্গতি হতে রক্ষা করেন এবং তাদের ধর্মীয় সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান লাভের সুযোগ করে দেন। মহানবী কন্যা সন্তানদেরকে জীবিত কবর দেওয়া বন্ধ করান এবং কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া কে অভিশাপের পরিবর্তে সম্মান দেন। এবং সুন্দরভাবে কন্যা সন্তান লালন পালনকারীদের জন্য বেহেশতের ঘোষণা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক সকল বৈষম্য দূর , করেন ছোট বড় সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সকল প্রকার সামাজিক অবক্ষয় যেমন-সুদ , ঘুষ ,মদ জুয়া ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেন এবং এভাবে তিনি সামাজিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন।

মহানবীর ওফাত

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের আটই জুন ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার মাত্র  ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার বিদায় হজের ভাষণে ইসলাম ধর্মকে মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে যান এবং মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলে যান যাতে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে । কারণ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে পৃথিবীতে অনেক রক্তপাত হয়েছে আর যেন এই রক্তপাত না হয় এবং তিনি এই উপদেশও দেন যে একজনের ধর্ম আরেকজনের উপরে চাপিয়ে দিও না।

মন্তব্য , এই ছোট পোষ্টের মাধ্যমে মহানবীর হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী সম্পূর্ণ রূপে  তুলে ধরা অসম্ভব এই কারণে যতটুকু সম্ভব হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনী এবং জীবন আদর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে আশা করি মহানবীর জীবনী সম্পর্কে জানতে পেরে আপনি উপকৃত হবেন এবং তার আদর্শে নিজের এবং পরিবারের সকলকে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url