রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়

মোবাইল ফোন হল বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সৃষ্টি গুলোর মধ্যে একটি। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই  বিভিন্ন কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারি যার মধ্যে আমাদের কষ্ট এবং সময় দুটোই নামক হয়। এছাড়াও মোবাইল ফোন আজকে গোটা বিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছি। কিন্তু জানেন কি ব্যবহারের নিয়ম মেনে না চলার কারণে মোবাইল ফোন কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অনেকেই হয়তো জানে না রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়।

বিভিন্ন মানুষকে জানানোর জন্য এবং যারা জানেন তাদেরকে দ্বিতীয় বার সতর্ক করার জন্য আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয় এই বিষয়টি নিয়ে কেননা মোবাইল ফোন মাথার কাছে রেখে ঘুমানোর এই অভ্যাসটি আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে এবং আমাদের পরিবার-পরিজনদের ওপরে কতটা মারাত্মক প্রভাব ফেলছে তা জানা এবং অপরকে জানানো অত্যন্ত জরুরি , তাই এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয় এই বিষয়টি এবং এর সাথে আরও জানাবো মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার কিছু উপায়।

সূচিপত্রঃ রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়

রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ব্যবহার করেন না এমন ধরনের মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টরই নয় অসম্ভবও বটে , কেন না বিভিন্ন প্রয়োজনে ছোট বড় সকল বয়সের মানুষই মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত ছোট বড় বিভিন্ন প্রয়োজনে দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন আমাদের ব্যবহার করতে হয় বা আশেপাশে রাখতে হয়। কিন্তু রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয় তা কি আপনি জানেন ,আপনার কি জানা আছে এই অভ্যাসটি আপনার কতটা ক্ষতি করতে পারে ? চলুন আজ বিষয়টি জেনে নেয়া যাক।

চীন এবং আমেরিকার দুইটি ইউনিভার্সিটি আলাদা আলাদা দুটি গবেষণার মাধ্যমে বলেছেন যে রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে প্রাণঘাতী বিপদ ডেকে আনতে পারে এই অভ্যাসটি। লিখিয়াম - আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার পরে বেশিরভাগ মোবাইল কোম্পানীগুলো যে ব্যাটারি থেকে প্রায় ৯৯-১০০টি গ্যাস নির্গত হতে থাকে আর এই দেশগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং শুধু ক্ষতিকর প্রভাবই নয় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকেও ধাবিত করতে পারে।

রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমানোর কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মানুষের চোখ , নাক , গলা জ্বলা। মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া ক্ষতি কারক গ্যাসের পরিমাণ আরো বেড়ে যায় যখন মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ডাউন বা নষ্ট হয়ে যায় কেননা নষ্ট ব্যাটারি সাহায্যে মোবাইল চালালে মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এই গ্যাস মানব শরীরে প্রবেশের ফলে মানসিক বিকাশ ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরোও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কে জানুন

মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে ওয়াইফাই থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন কতটা মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে তা বোঝানোর জন্য ইংল্যান্ড ,হল্যন্ড এবং সুইডেনের একটি ইনস্টিটিউটের কিছু গবেষক এই ব্যাপারে সাকের বিচির উপরে গবেষণা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। ১২ দিন ধরে গবেষণার পরে সেই গবেষক দল জানান , দুইটি ঘরে তারা বেশ কিছু শাকের বিচি রোপণ করেছিলেন এবং একই ধরনের পরিচর্যা করেছিলেন তবে শুধু পার্থক্য ছিল একটি ঘরে মোবাইল এবং ওয়াইফাই চালু ছিল কিন্তু অপর ঘরে মোবাইল ওয়াইফাই চালু ছিল না । ১২ দিন পরে পরে গবেষণা ফলাফল হিসেবে দেখা যায় যে ঘরে মোবাইল এবং ওয়াইফাই চালু ছিল না সেই ঘরের বিচি থেকে বিকশিত হওয়া গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে অথচ মোবাইল এবং ওয়াইফাই চালু করা ঘরে থাকা শাকগুলো তো অধিকাংশই মরে গেছে এবং যতটা বেড়ে ওঠার কথা ততটা বাড়ি নেই। এই গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় মোবাইল থেকে বের হওয়ার রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য কতটা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে ঘটতে পারে অনেকবার সমস্যা এবং আপনারা জানেন ঘুম আমাদের জন্য কতটা জরুরী এবং রাতে ঠিক মতন ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরে কত ধরনের সমস্যা হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনিদ্রা ঘুমের সমস্যার পাশাপাশি রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক , ক্যান্সার , ব্লাড প্রেসার , স্ট্রোক করার মতন সমস্যা এবং বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস রোগের।

আমরা অনেকেই বর্তমানে এলারাম ক্লক ব্যবহার না করে মোবাইলের মাধ্যমে এলার্ম সেট করে ঘুমিয়ে পড়ি কারণ হাতের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে এলার্মের সুব্যবস্থা থাকায় আলাদা করে এলারাম ক্লক ব্যবহার এর প্রয়োজন হয় না কিন্তু এই এলার্ম ব্লকের মাধ্যমে রেডিও ট্রান্সমিশনে হতে থাকে যতক্ষণ না এই আমরা বন্ধ করছি এবং এই রেডিও ট্রান্সমিশন এর কারণে মস্তিষ্কের সমস্যা এবং মেমোরি লস হওয়ার মতন সমস্যাও ঘটতে পারে। আবার অনেক সময় মোবাইল ফোন চার্জে রেখে আমরা ঘুমিয়ে পরি এই ক্ষেত্রেও মোবাইলের ব্যাটারিতে অতিরিক্ত চার্জ হওয়াতে  মোবাইল বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির কথাও শোনা যায়। শুধু রাতে ঘুমানোর সময় নয় দিনের বেলাও তোর তো মোবাইল ফোন ব্যবহার বা আশেপাশে রাখাও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বিশেষ করে আমরা যখন বুক পকেটে অথবা প্যান্টের পকেটে মোবাইল নিয়ে ঘোরাফেরা করি তখন আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলো মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়ার রেডিয়েশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।আশা করছি রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয় বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়

এতক্ষন আপবাদের জানিয়েছি রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয় এ বিষয়টি এবং এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়, অনেকেই হয়তো ভাবছেন মোবাইল আমাদের নিত্য দিনের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই মোবাইল ফোন ছাড়া বিশেষ কিছু কাজের কথা আমরা চিন্তাও করতে পারি না তাহলে এই মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় কি ? এই রেডিয়েশন থেকে কি বাঁচার উপায় নেই। আপনাদের চিন্তা বা  উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই কেননা এখন আপনাদেরকে জানাবো মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে এবং এই টিপস গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে মোবাইল রেডিয়েশন থেকে নিজের শরীরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা অনেকটাই সম্ভব হবে ,তাহলে চলুন আর দেরি না করে মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার জন্য আপনি বেশ কিছু উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন  যেমন - আমরা অনেকেই হয়তো দিনের মধ্যে অনেক সময় বিনা প্রয়োজনেই মোবাইল হাতে নিয়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে অযথা বা অহেতুক ঘোরাঘুরি করি এই কাজটি করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন অর্থাৎ বিশেষ প্রয়োজন না হলে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন এবং মোবাইলকে নিজের থেকে দূরে রাখুন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অতিরিক্ত কথা বলা বন্ধ করুন।

আমরা যখন হেডফোন , ইয়ারফোন বা ব্লুটুথ এর মাধ্যমে কথা বলি বা গান শুনি তখন সেই রেডিয়েশনটি সরাসরি আমাদের কানের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে গিয়ে আক্রমণ করে তখন আমাদের  মস্তিষ্কের উপরে বিশেষ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে আর এই কারণে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে নিজের মস্তিষ্ককে বাঁচাতে হলে ফোনে অত্যাধিক কথা বলা পরিহারের পাশাপাশি হেডফোন, ইয়ারফোন ইত্যাদিগ্যাজেট গুলো ব্যবহার করাবন্ধ করতে হবে।

আপনাদেরকে আগেও জানানো হয়েছে যে নিম্নমানের ব্যাটারি বা  ব্যাটারি ড্যামেজ হয়ে গেলে এই ধরনের ব্যাটারির মাধ্যমে মোবাইল বা ট্যাবলেট না চালানো উচিত কেননা এর থেকে ক্ষতি করো গ্যাস বের হওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় তাই আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাটারি যদি নিম্নমানের হয় বা ব্যাটারি যদি ড্যামেজ হয়ে যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আজকে তা রিপ্লেস করুন। কারণ নিম্নমানের ব্যাটারি বাদ দেওয়াও মোবাইল ফোন রেডিয়েশন থেকে বাঁচার আরেকটি উপায়।

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে হলে মোবাইলের মাধ্যমে এলার্ম দেয়া বন্ধ করুন এবং আপনার যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে অ্যালার্ম ক্লক এর মাধ্যমে টাইম সেট করুন। শুধু এলার্ম নয় অনেকের অভ্যাস থাকে মোবাইলকে ভাইব্রেট মুডে রাখা মোবাইল ফোন যখন ভাইব্রেশন হয় তখনও কিন্তু এর থেকে মারাত্মক এক ধরনের রেডিয়েশন বের হতে থাকে তাই মোবাইল ফোনের ভাইব্রেশন অপশন কেউ বন্ধ রাখা উচিত।

মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন থেকে বাঁচার আরেকটি সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কি নিজের থেকে দূরে রাখুন যদি সম্ভব হয় তাহলে শোবার ঘরে না রেখে অন্য ঘরে রাখুন। আর যদি নিজের ঘরে রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই বদ্ধ জায়গায় না রেখে খোলা জানালার পাশে রাখুন। মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রুণ , ছোট শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এর ফলে মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বাচ্চাদের মেধাবিকাশের সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে পারে তাই মোবাইল ফোন , ওয়াইফাই রাউটার ইত্যাদি ডিভাইস গুলো গর্ভবতী নারীদের থেকে যতটা দূরে রাখা যায় ঠিক ততটা দূরে রাখুন।

আরো পড়ুনঃ ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে

মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন থেকে বাঁচার জন্য আপনি রাত্রে বেলা যদি বিশেষ প্রয়োজন না থাকে তাহলে অবশ্যই ফোনটি নিজের কাছে থেকে দূরে কোথাও এবং ফোনের এরোপ্লেন মোড চালু করে রাখুন অথবা সুইচ অফ করে দিন এতে করেও মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন অনেকটা কম হবে এবং আপনার শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কম হবে। পরিশেষে বলা যায় শুধু রাতেই নয় সারাদিন অথবা মোবাইল ফোন যতক্ষণ চালু থাকে সবসময়ই এর ভেতর থেকে বেশ কিছু রেডিয়েশন বের হতে থাকে তাই অবশ্যই নিজেকে এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচাতে মোবাইল বা ফোন ব্যবহার যতটা কমানো সম্ভব ততটা কমিয়ে ফেলুন।

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত

মোবাইল রেডিয়েশন সম্পর্কে এত কিছু জানার পরে এখন হয়তো বা আপনারা ভাবছেন ,তাহলে দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত।আসলে দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত এই প্রশ্নের উত্তরটি দেওয়া খুব একটা সহজ নয় কেননা মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম তবে আপনারা জানেন মোবাইল যে কোন সময় ব্যবহারই শরীরের জন্য ক্ষতিকর তবে অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতির মাত্রা বেশি হবে এবং কম ব্যবহারে ক্ষতির মাত্রা কম হবে এই কারণে মোবাইল ফোন এর ব্যবহার যতটা কম করা সম্ভব ততটাই কমানো উচিত । বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে দুই  ঘন্টার বেশি মোবাইল ইউজ না করাই ভালো, কেননা আপনি যত বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন আপনার শরীরের ঝুঁকি ততটাই বেড়ে যাবে । মোবাইল ফোন ব্যবহারে আমাদের চোখের রেটিনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিশেষে বলা যায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার আপনি যতটা কমাতে পারেন ততটাই আপনার জন্য ভালো। তবে দিনে দুই ঘণ্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার করা যে কোন মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই রাত জেগে বিভিন্ন কারণে , বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল কোন ইউজ করে থাকি, কিন্তু এই কাজটি করে আমরা নিজের অজান্তেই যে নিজেদের কতটা ক্ষতি করিনি তাও অনেকেই হয়তো জানেন না। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে কারণ এখনো অনেক মানুষ এ বিষয়ে অসচেতন। তাই আপনাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা দরকাররাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়। রাত জেগে মোবাইল ফোন চালালে শরীরেরযে সকল ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সেগুলো হলো,

  • শরীরে মেলোটোনিন হরমোন উৎপাদন সঠিকভাবে হয় না।
  • দেখা দেয় অনিদ্রার সমস্যা যার 
  • হার্ট অ্যাটাক , ব্লাড প্রেসার , ক্যান্সার , ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়
  • চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়
  • কাজে মনযোগ থাকেনা
  • মানসিক চাপ বাড়ে

মন্তব্য, উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন রাতে মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হয়।মোবাইলের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য বাঁচার জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন,  একাকীত্ববোধ হলে বই পড়ুন ,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন অথবা পর্যাপ্ত সময় থাকলে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন। যে সকল কাজ মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে করা যাবে সেই কাজগুলো নিজে নিজে করার চেষ্টা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url