যাকাত কি - যাকাতের নিসাব - যাকাত না দেওয়ার শাস্তি

প্রত্যেক সামর্থ্যবান নর নারী জন্য ইসলামের যাকাত দেওয়া ফরজ এবং পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক নামাজের সাথে সাথে যাকাত দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে যাকাত দেওয়ার আগে আমাদের যাকাত কি যাকাতের নিসাব এবং যাকাত সম্পর্কিত বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে, এবং ভালোভাবে জেনে নিতে হবে তাদের যাকাত দেওয়া যাবে এবং তাদের যাকাত দেওয়া যাবে না। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমরা যাকাত কি , যাকাতের নিসাব , যাকাত না দেওয়ার শাস্তি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

যেহেতু যাকাত সমর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপরে আল্লাহ পাক ফরজ করেছেন তাই এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখা ও আমাদের দায়িত্ব বা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। যাকাত দেয়ার আগে অবশ্যই ডাকাত বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা উচিত কেননা কি পরিমান অর্থের যাকাত দিতে হবে , কাদেদের যাকাত দেওয়া যাবে, যাকাত কি এবং যাকাত না দিলে কি শাস্তি হবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান নেওয়ার পরে সেই অনুযায়ী যাকাত প্রদান করা উচিত।

সূচিপত্রঃ যাকাত কি - যাকাতের নিসাব - যাকাত না দেওয়ার শাস্তি 

যাকাত কি

এখন আপনাদের সাথে যাকাত কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।যাকাত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ-পবিত্র করা, শুদ্ধ করা, বৃদ্ধি করা। সঞ্চিত সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ আল্লাহর হুকুম পালন করার উদ্দেশ্যে, তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর কর্তৃত্ব নির্ধারিত খাতে ব্যয় করারকে শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত বলে। এই পরিকল্পিত ব্যয়ের মাধ্যমে দুই ধরনের অর্জিত হয় (১) সঞ্চিত সম্পদের মধ্যে আল্লাহ পাক যাদের হক নির্ধারণ করে রেখেছেন তাদের হাতে সেই অংশ তুলে দিয়ে অবশিষ্ট অংশ নিজের ব্যবহারের জন্য পবিত্র করে নেওয়া। (২) সম্পদের প্রতি মোহজনিত কারণে হৃদয়ের মধ্যে লালসার যে বিষাক্ত বীজ অংকুরিত হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তা ব্যয় করে অপবিত্র প্রবণতার বীজ অন্তর থেকে দূর করে তা পবিত্র করা।আশা করি যাকাত কি বুঝতে পেরেছেন।

যাকাতের ফযীলত

যাকাত কি এ বিষয়টি জানানোর পরে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব যাকাতের ফজিলত সম্পর্কে । আমাদের জীবনে যাকাতের ফজিলত অনেক বেশি ,ইসলামী শরীয়তে পঞ্চ ভিত্তির মধ্যে যাকাত একটি অন্যতম ভিত্তি। পবিত্র কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতের নামাজের কথা যত বার উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে প্রতিবারই যাকাতের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া যাকাতের সভ্যতা ও গুরুত্ব বহু আয়াত ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন "তাদের সম্পদ হতে সদকা গ্রহণ করে তার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশোধ করবে। তুমি তাদেরকে দুআ' করবে তোমার দুআ' তাদের জন্য চিত্ত শান্তিদায়ক। আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।" ( সূরা তওবা -১০৩) যাকাতের ফজীলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন: ওয়ামা-আনফাক্বাতুম মিন শাইইন্ ফাহু্ওয়া ইয়্যুখ্লিফুহূ ওয়া হুওয়্যা খাইরুর্ রা-ঝিক্বী-ন্ । অর্থ: "তোমারা যা কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিদান দিবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।" (সূরা সাবা- ৩৯)

যাকাত না দেওয়ার শাস্তি

যাকাত না দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "যারা স্বর্ণ রৌপ্য জমা করে অথচ আল্লাহর পথে খরচ করে না, আপনি তাদেরকে অতি পীড়াদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। কিয়ামতের দিন ওই সম্পদ দোযখের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তা তারা তাদের ললাট, পাঁজর ও পৃষ্ঠদেশে দাগ লাগানো হবে। সেদিন বলা হবে "এটাই তো তা যা তোমার তোমাদের নিজেদের জন্য জমা করে রাখতে। অতএব তোমারা স্বাদ গ্রহণ করো, সেই বস্তুর যা তোমরা জমা করে রাখতে।" (সূরা তওবা ৩৪-৩৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন "যাকে আল্লাহ তায়ালা সম্পদ দিয়েছে কিন্তু সে তার যাকাত আদায় করল না কিয়ামতের দিন ওই সম্পদ বিষাক্ত সাপে পরিণত হবে। সেই সাপটার গলায় পেঁচিয়ে ধরে উভয় গালে দংশন করবে এবং বলবে, আমি তোমার সঞ্চিত ধন সম্পদ। অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- " যারা যাকাত আদায় করে না তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন।"

কাদের উপর যাকাত ফরয

সংসারের যাবতীয় ব্যয় ও ঋণ আদায়ের পরে যার নিকট সাড়ে বায়ান্ন তোলা ৬১২.৪০ গ্রাম রৌপ্য বা সাড়ে সাত তোলা ৮৭.৫০ গ্রাম সোনা কিংবা তার মূল্য অথবা স্বর্ণ-রৌপ্য মিলিয়ে যেকোনো একটার মূল্য পরিমাণ সম্পদ জমা থাকে, তাকে মালেকে নেছাব বলা হয়। ওই পরিমাণ সম্পদ এক বছর জমা থাকা যাকাতের জন্য শর্ত। এক বছর জমা না থাকলে তার প্রতি যাকাত ফরজ হবেনা। নিত্য প্রয়োজনীয় জমাজমির যাকাত হবে না। তবে স্ত্রী লোকের ব্যবহার্য অলঙ্কারাদি নেছাব পরিমান হলে যাকাত দিতে হবে।

যাকাতের নেছাব

চার প্রকার সম্পদের যাকাত হয়। যথা- (১) স্বর্ণ-রৌপ্য (২) ব্যবসায়ের মাল (৩) গৃহপালিত পশু, যেমন- গরু, ছাগল, ভেড়া, উট মহিষ ইত্যাদি (৪) জমির উৎপন্ন ফসল, যাকে উশর বলা হয়। স্বর্ণ-রৌপ্যের চাকা বা অলংকার যাই হোক তা যদি নেছাব পরিমাণ হয়, তা হতে যাকাত দিতে হবে। স্ত্রীলোকের ব্যবহারের অলংকার হলেও যদি তা নেছাব পরিমাণ হয় তবে তা যাকাত দিতে হবে। অলংকারে যদি অন্য কোনো ধাতু থাকে, তবে দেখতে হবে কোন ধাতুর পরিমাণ বেশি। যদি স্বর্ণ-রৌপ্যের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে যাকাত দিতে হবে। আর যদি অন্য ধাতুর পরিমাণ বেশি হয় তাহলে যাকাত দিতে হবে না। 
কারো নিকট স্বর্ণ-রৌপ্য উভয় কিছু কিছু থাকলে, কিন্তু কোনটাই নেছাব পরিমাণ না হয়। এমতাবস্থায় উভয় মূল্য একত্র করলে যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের বা সাড়ে বায়ান্ন রৌপ্যের মূল্যের সম্মান হয়, তবে যাকাত দিতে হবে। স্বর্ণ-রৌপ্যের থালা বাসন ইত্যাদি কোন প্রকার ব্যবহার্য পাত্র হলেও যাকাত দিতে হবে। ঘর গৃহস্থালির আসবাবপত্র যত বেশি হোক না কেন তার যাকাত দিতে হবে না। তবে এ ধরনের আসবাবপত্রের ব্যবসায়ের জন্য জমা থাকলে যাকাত দিতে হবে। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গাড়ি, লঞ্চ, নৌকা ইত্যাদি ক্রয় করে ভাড়া দিলেও তার মূল্য ও ভাড়ালব্ধ আয় হিসেব করে যাকাত দিতে হবে। নগদ টাকা বা ব্যবসায়ের মালামাল যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলার রৌপ্যের মূল্যের সমান হয় ও এক বছর পর্যন্ত নিজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে চল্লিশ ভাগের এক অর্থাৎ শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত দিতে হবে। 
৫টি উটের কমে যাকাত হয় না। প্রতি ৫টিতে একটি বকরী, এই হিসাবে ২০টি উটে ৪টি বকরী দিতে হবে। ২৫টি হলে একটি ২বছরের মাদী উটের বাচ্চা দিতে হবে। ৩৬ টি হলে একটি তিন বছরের মাদী উট দিতে হবে। গরু মহিষের নেছাব হলো, ৩০টি; এর কমে যাকাত হয় না। ৩০ টি গরু বা মহিষ হলে এক বছরের একটি গরু বা মহিষের বাচ্চা, ৪০টি হলে দুই বছরের একটি বাচ্চা দিতে হবে। এর প্রতি ৩০টি তে ১টি ১বছরের বাচ্চা ও প্রতি ৪০ টিতে ১টি ও ২ বছরের বাচ্চা দিতে হবে। যেমন: ৭০ টি হলে ১টি ১ বছরের বাচ্চা ও ১টি ২ বছরের বাচ্চা দিতে হবে। ৪০টি ছাগলের কমে যাকাত হয় না। ছাগল ভেড়া ৪০টি হলে ১টি ছাগল দিতে হবে। ১২০ টি পর্যন্ত ১টি ছাগল, ১২১ টি পর্যন্ত ২টি ছাগল, ২০১ টি হলে ৩টি, ৪০০ টি হলে ৪টি। এরপর প্রতি শতে একটি ছাগল দিতে হবে। 
নর-মাদী যাই হোক দিতে পারবে তবে। তবে কমপক্ষে এক বছর বয়স হতে হবে। বার্ষিক আয়-ব্যয় যথা খোরাকি ও অন্যান্য যাবতীয় ব্যয়ের জন্য ধান চাল জমা করলে তা যাকাত হবে না। বাৎসরিক বাজেটের অতিরিক্ত হলে তা ব্যবসায়ী সম্পদে পরিগণিত হবে এবং তার মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত দিতে হবে। কোন ব্যবসায়ী বাকিতে মাল বিক্রি করলে এবং তার মূল্য নেছাব পরিমাণ হলে এবং এক বছরের পর উসুল হলে এক বছরের যাকাত দিতে হবে, দু'বছর পর উসুল হলে দু'বছরের যাকাত দিতে হবে, এরূপ যত বছরের পর উসুল হবে তত বছরের যাকাত দিতে হবে। কোন স্ত্রীলোক তার মোহরানা টাকা যেদিন পাবে সেদিন থেকে এক বছর পর যাকাত ওয়াজিব হবে। যদি তার নিচে পরিমাণ হয়। যত বছর স্বামীর নিকট ছিল স্ত্রীর জন্য সে সময়ের যাকাত দিতে হবে না। বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই হিসাব করে যাকাত দেওয়া যায়। আবার কয়েক বছরের যাকাত অগ্রিম দেওয়া যায়। তবে যদি পরবর্তী কোন বছর সম্পদ বৃদ্ধি পায় তাহলে বর্ধিত মালের যাকাত দিতে হবে। [দ্রষ্টব্য: সোনা, রূপা ও তেজারতি মালের যাকাত দেওয়া কর্তব্য। ___ দোররুল মোখতার]

কাদেরকে যাকাত দেওয়া যায় না

১। মালিকে নেছাব অর্থাৎ যার উপর যারা যাকাত দাও ফরজ। ২। মাতা-পিতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি এদেরকে যাকাত দেয়ার জায়েজ নেই। এদের মধ্যে কেউ অভাবগ্রস্থ হলে তাকে যাকাত করতে হবে। স্বামী-স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে। ৩। হাশেমী বংশের লোকদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না। তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। ৪। যাকাতের মাল দ্বারা মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মুসাফির খানার, সড়ক, পুল, কুয়া, পুকুর নির্মাণ করা ও মৃত ব্যক্তিকে কাফন দেওয়া যাবে না। ৫। মুসলমান ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীকে যাকাত দেওয়া যাবে না। ৬। বিনিময়ে কোন কিছু আকাঙ্ক্ষা করে যাকাত দেওয়া যায় না। ৭। যাকাত গ্রহণের সম্পূর্ণ যোগ্য ব্যক্তি মনে করে কাউকে যাকাত দেওয়ার পর জানতে পারলে যে, গ্রহীতা মালদার। এমতাবস্থায় যাকাত গ্রহণকারীর কাছে ওই মাল রাখা ঠিক হবে না। দাতা ফেরত এনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে দিবে। গ্রহীতা দিতে অস্বীকার করলে দাতার যাকাত আদায় হয়ে যাবে। ৮। যাকাত আদায়য়ের পর যদি সন্দেহ হয় যে মালদারকে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় যাকাত আদায় হবে না। পুনরায় উপযুক্ত ব্যক্তিকে যাকাত দিতে হবে। এক শহরের যাকাত অন্য শহরে পাঠান মাকরুহ। তবে যদি অন্য শহরের আত্মীয়-স্বজন থাকে বা এই শহরের যাকাত গ্রহণের মত লোক পাওয়া না যায় তাহলে মাকরুহ হবে না।

যাদেরকে যাকাত দেওয়া যায়

যাকাত দেওয়ার জন্য কূরআন মজীদে আটটি খাতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। (১) ফকির, (২) মিসকিন, (৩) যাকাত আদায় কর্মচারী, (৪) যাদের (নওমুসলিম) মন জয় করতে হয়, (৫) গরিব মুসাফির, (৬) আল্লাহর পথে, (৭) গোলাম মুক্ত করার জন্য, (৮) ঋণ মুক্ত করার জন্য। অতএব এই নিয়মে বলা যায় যে, ১। যে ব্যক্তি মালিকে নেছাব নয় এমন ফকির, মিসকিন, দুঃখী। ২। ধনী ব্যক্তির বাড়ীতে সম্পদ থাকা সত্ত্বেও যদি বিদেশে অর্থাভাবে কষ্ট পায়। ৩। নিকটতম আত্মীয়দের যেমন, ভাই-বোন, ভাতিজা-ভাতিজি, ভাগ্নে-ভাগ্নী, চাচা-চাচি, মামা-মামি, খালা-খালু, ফুপু-ফুপা এদের মধ্যে কেউ যদি মিসকিন হয় তবে তাদের সর্বপ্রথমে দিতে হবে। ৪। এরপর প্রতিবেশী, নিজের গ্রামবাসী, নিজের দেশবাসী, তারপর বিদেশি গরীব দুঃখীদেরকে। ৫। নিজ মহল্লার বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে না হলেও দরিদ্র আলেম, দ্বীনি ইলম শিক্ষার্থী, দ্বীনদার পরহেজগার লোক যাকাত পাওয়ার হকদার। ৬। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে, যাদের ঋণ পরিশোধ করার মতো অর্থ নেই। ৭। নব দীক্ষিত মুসলমানদেরকে যারা অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে পৈত্রিক সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে । ৮। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী ব্যক্তিদেরকে। ৯। দুধ মা ও দুধ বোনকে যাকাত দেয়া জায়েজ আছে। ১০। ইমাম, মোয়াজ্জিন, কর্মচারী বা ঘরের চাকর, চাকরানি যাকাত দেওয়া জায়েজ আছে, যদি সে মালিকে নেছাব না হয় এবং তার বেতনের পরিবর্তে না হয়।
মন্তব্য , দ্বীনি ভাই বোনেরা যারা আছেন তারা অবশ্যই এতক্ষণে যাকাত কি , যাকাতের নিসাব ,যাকাত না দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে জেনে গেছেন এবং এটাও জেনেছেন যে যাকাত প্রদান করা সামর্থ্যবানদের জন্য। তাই অবশ্যই সামর্থ্যবান হয়ে থাকে আপনার অর্থ সম্পর্কে পবিত্র করার জন্য যাকাত আদায় করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url