কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে - পড়া মনে রাখার দোয়া

পড়াশোনা আমাদের সুন্দর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কেন নাম ভালো পড়াশোনার ওপরে নির্ভর করে একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো আর এই সার্টিফিকেটগুলো ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো চাকরি-বাকরি করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রেও অপরিহার্য। তাই শুরু থেকেই পড়াশোনা বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সকলের জেনে রাখা উচিত আরে কারণে আজকে আপনাদের জানাবো  কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে এবং পড়া মনে রাখার দোয়া সম্পর্কে।

আজকের এই পোস্টটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে এবং পড়া মনে রাখার দোয়া এই বিষয়ে দুটি বিস্তারিতভাবে জানার পাশাপাশি আরো জানতে পারবেন পড়া মনে রাখার সহজ কিছু উপায় সম্পর্কে। আপনারা যদি পড়া মনে রাখার উপায় এবং পড়া মনে রাখার দোয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর দেরি না করে অবশ্যই এই পোস্টটি পড়ুন। কেননা এই পোস্টটি ছাত্র-ছাত্রীদের অথবা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষভাবে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায় তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং ভালোভাবে জেনে নিন কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে ও পড়া মনে রাখার দোয়া।

পড়া মনে রাখার দোয়া

আপনাদের মধ্যে অনেকেই পড়া মনে রাখার দোয়া জানতে চান আর এই বিষয়টি জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি কেননা সঠিকভাবে পড়াশোনার উপরে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের আয় উন্নতি থেকে শুরু করে মানুষের মতন মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পড়াশোনা। তাই আজকে আপনাদেরকে পড়া মনে রাখার দোয়া জানাবো। আপনার মধ্যে অনেকেই পড়া মনে রাখার দোয়া জানলেও এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত পড়া মনে রাখার দোয়া জানেন না। তাই চলুন আজকে পড়া মনে রাখার দোয়া জেনে নেওয়া যায়।

  •  ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ -উচ্চারন ঃ "সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আলিমুল হাকিম"।অর্থ ঃ হে আল্লাহ আপনি পবিত্র! ,আপনি আমাদের যা শিখিয়েছ সেগুলো ব্যতীত আমরা কোন কিছুই জানি না। নিশ্চয় আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
  •  رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا - উচ্চারণ: রাব্বি যিদনী ইলমা অর্থ: হে আমার রব! আমার ইলম বাড়িয়ে দাও। (সূরা ত্বাহা; আয়াত ১১৪)
কেউ যদি এই দোয়া গুলো নিয়মিত বেশি বেশি আমল করে তাহলে সে ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমতে অবশ্যই তার এলম জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। তবে শুধুমাত্র এই দোয়া গুলোর উপরে নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না পাশাপাশি পড়াশোনায় মনোযোগী এবং অধ্যাবস্যই হতে হবে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম এবং মন থেকে বিশ্বাস সহকারে এই দোয়াগুলোর আমল করলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ পাক পড়াশোনা মনে রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন বলে আশা করা যায়।

কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে সেই সময় গুলো। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে এই বিষয়গুলো জানা না থাকার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় পড়াশোনা করার পরেও সহজে পড়া মনে রাখতে পারেনা  আর এ কারণে কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে সেই সময় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। তাই চলুন আজকে আপনাদেরকে কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে সেই সময় গুলোর কথা জানাই।আপনারা যারা কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে তা জানেন না তারা অবশ্যই বিষয়টি জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ নাকের মাংস কমানোর ঔষধ

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা যেকোনো সময় ঘুমানোর আগে পড়াশোনা করলে সেই পড়াটি মনে রাখতে সুবিধা হয়। এ কারণে আপনি পড়াশোনা করতে পারেন ঘুমানোর আগে। এছাড়া আমরা সকলে জানি ভোরের ঠান্ডা ও শান্ত পরিবেশ পড়াশোনা মনে রাখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক সাহায্য করে সুতরাং ভোর বেলাও পড়া মনে রাখার উত্তম একটি সময়। এছাড়াও পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টি আপনি কাজে লাগাতে পারেন এই এই সময়ও পড়া দ্রুত মুখস্ত করা যায় এবং দীর্ঘ সময় মনে রাখা যায়। আশা করছি কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

পড়া মনে রাখার উপায়

স্টুডেন্ট জন্য পড়া মনে রাখার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পরীক্ষার ফলাফল , ক্যারিয়ার সবকিছুই নির্ভর করে পড়াশোনা মনে রাখার উপরে এবং সেই অনুযায়ী কাঙ্খিত ফলাফলের উপরে। অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের দেখা যায় দিনের অধিকাংশ সময় পড়াশোনা করলেও সেই পড়া সহজে মনে রাখতে পারে না। আর এ কারণে পড়া মনে রাখার উপায় গুলো সব ছাত্রছাত্রীদের জেনে রাখা উচিত। অনেক শিক্ষার্থী পড়া মনে রাখার উপায়গুলো জানে না এবং অনেকেই এই বিষয়টি জানতে চাই। পড়তে বসার বা পড়ার সময় বেশ কিছু সহজ টিপস ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই পড়াশোনা মনে রাখা যাই। কিন্তু তার আগে অবশ্যই জানতে হবে পড়া মনে রাখার উপায়গুলো। তাহলে চলুন দেরি না করে কোন কোন উপায় গুলোর মাধ্যমে সহজে পড়া মনে রাখা যায় সেই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক। পড়া মনে রাখার উপায় গুলো হলো

ইচ্ছা বা মনোযোগঃ না পড়াশোনা মনে রাখার জন্য সবচেয়ে প্রথমেই যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হল পড়ার ইচ্ছা বা মনোযোগ। আপনার যদি পড়ার প্রতি ইচ্ছা বা মনোযোগ ঠিক মতন না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পরলে বা বই নিয়ে থাকলেও সেই পড়াটি আপনি মনে রাখতে পারবেন। আর এই কারণে পড়া মনে রাখা প্রথম শর্ত হল অতি ইচ্ছা এবং মনোযোগ সহকারে পড়া। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সেই পড়াটি খুব সহজেই মুখস্ত হবে এবং দীর্ঘ সময় মনে রাখতে পারবেন।

সময় নির্ধারণঃ পড়া মনে রাখার বিশেষ কিছু পায়ের মধ্যে সময় নির্ধারণ বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি পড়াশোনা করার সময় নির্ধারণে ভুল করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে পড়া মনে রাখতে আপনাকেও সুবিধাই করতে হবে সেই কারণে প্রথমে পড়াশোনা করার সঠিক সময় নির্ধারণ করে তারপরে পড়তে বসতে হবে। আপনি যদি পড়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারেন অর্থাৎ যেই সময়গুলোতে পড়াশোনা তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয় সেই সময়ে পড়তে বসতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই পড়া মনে রাখতে পারবেন।

পরিবেশ তৈরিঃ পড়াশোনা মনে রাখার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পড়ার পরিবেশ তৈরি করা। পড়াশোনা করতে হলে এর জন্য উপযুক্ত করলে বেছে নিতে হবে অথবা সৃষ্টি করতে হবে কেননা সব পরিবেশে পড়াশোনা তো হয় না এবং মনেও থাকে না। পড়াশোনা করার জন্য আপনাকে শান্তশিষ্ট আলো বাতাস পরিপূর্ণ একটি জায়গা দেখে নিতে হবে আপনি যদি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে করতে বসেন তাহলে সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা হলো সরাসরি আপনার মেমোরিতে পৌঁছাবে না আর যার কারণে সেই পড়াটাই আপনি মনেও রাখতে পারবেন না সুতরাং বুঝতেই পারছেন পড়াশোনা মনে রাখার জন্য পড়ার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী।

আরো পড়ুনঃ থাইরয়েডের দশটি লক্ষণ

সাউন্ড করে পড়াঃ সাউন্ড করে বা জোরে জোরে পড়া ,পড়া মনে রাখার আরেকটি সহজ উপায়। বর্তমানে সকল স্টুডেন্টদের কাছে ধীরে ধীরে বা মনে মনে পড়া একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়ালেও সহজে পড়া মনে না  থাকার এটি আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মনে মনে পড়ার চেয়ে জোরে জোরে বা সাউন্ড করে করলে সেই পড়াটি দ্রুত মেমোরিতে পৌঁছে যায় এবং মনে রাখতে সহজ হয়। এ কারণে তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত করতে চাইলে এবং তা মনে রাখতে চাইলে সাউন্ড করে পড়তে হবে।

পড়া ও লিখাঃ পড়া মনে রাখতে হলে জোরে জোরে পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি লিখার প্র্যাকটিস করতে হবে। যে পড়াটি আপনি করছেন সেটি যদি পড়ার পাশাপাশি বারবার লিখার চেষ্টা করেন তাহলে কোন জায়গায় আপনার সমস্যা সেগুলো বুঝতে পারবেন এবং খুব সহজেই এই পড়াগুলো মনে রাখতে পারতেন। এই কারণে পড়া মনে রাখার জন্য পড়ার পাশাপাশি লিখার প্র্যাকটিস করুন।

বিরতি দিয়ে পড়াঃ একবারে বেশি সময় ধরে না পড়ে থাকে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে 1015 মিনিট বিরোধী নিয়ে করলে সেই পড়াটি মনে রাখতে সুবিধা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘক্ষণ করার কারণে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে যার ফলে পড়া সহজে মুখস্ত করতে চাই না আর ভালোভাবে মুখস্ত না হলে সেই পড়াটি মনে রাখা সম্ভব হয় না। এ কারণে পড়ার মধ্যে থেকে একঘেয়েমি ভাব দূর করার জন্য পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কিছুক্ষণের বিরতি নেই এতে আপনাকে মেন্টালি ফ্রেশ লাগবে এবং পড়া  মনে থাকবে।

শরীরচর্চাঃ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত শরীর চর্চা করা সকলের জন্য নয় অত্যন্ত জরুরি কেননা শরীরচর্চা করলে মেমোরি বৃদ্ধি পায় আর আপনার মেমরি যখন শার্প হবে তখন যেকোনো কিছুই খুব সহজেই আপনি মনে রাখতে পারবেন তাই পড়া মনে রাখার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চার অভ্যাস করুন।

মন্তব্য, আজকের আলোচনায় আপনারা জানতে পেরেছেন কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে এবং পড়া মনে রাখার দোয়া সম্পর্কে। সঠিক সময় মতন যদি আপনি আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই বিষয়টি আপনার পড়া মনে রাখতে সাহায্য করবে। মনোযোগ সহকারে নিয়মিত পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বা পড়া মনে রাখার দোয়া গুলো যদি আপনি নিয়মিত আমল করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ পাকের কৃপায় আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি আপনার কাঙ্খিত পড়াশোনা গুলো সহজে মনে রাখতে পারবেন। আশা করছি কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে - পড়া মনে রাখার দোয়া সম্পর্কিত এই পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url